লেবু জল হোক সুস্থ থাকার দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
পেটের মেদ কমাতে এবং সর্বোপরি ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে অনেকেই খালি পেটে লেবু জল খান। গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া অনেকেরই দৈনন্দিন অভ্যাসের সঙ্গে জুড়ে আছে। তবে লেবু জল যে শুধু ওজন কমায়, তা নয়। লেবু জল খাওয়ার অভ্যাসে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে না, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে, শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। বহু সমস্যার এক দাওয়াই এই লেবু জল। তবে সমস্যা অনুযায়ী লেবু জল খাওয়ার সময় বদলে যায়। সমস্যা কী, তার উপর নির্ভক করবে কখন লেবু জল খাওয়া জরুরি।
হজমের গোলমাল অনেকেরই প্রতিদিনের সঙ্গী। তবে লেবু জল এই সমস্যার দাওয়াই হতে পারে। সব সময় অ্যান্টাসিড না খেয়ে লেবু জলের উপর ভরসা রাখে যেতে পারে। তবে হজমের গোলমাল থেকে বাঁচতে খাবার খাওয়ার পরে লেবু জলে চুমুক দিতে পারলে ভাল। তাতে পেট ফাঁপা কিংবা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে লেবু জল সব সময় খাবার খাওয়ার আগে অথবা খালি পেটে খেলেই ভাল। খাবার খাওয়ার আগে যদি লেবু জল খেয়ে নেন তা হলে বেশি খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে। অনেক সময় না চাইতেও বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন অনেকে। সে খাবার যদি স্বাস্থ্যকরও হয়, সেটাও শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেয়ে যেমন বিশেষ সুফল পাওয়া যায় না, তেমনই ভাজাভুজি সীমিত পরিমাণে খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই রোগা হওয়ার প্রথম ধাপ হিসাবে খাবারের খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে বলেন। লেবু জল সেক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
সব কিছুরই ভাল এবং মন্দ দুই দিক-ই রয়েছে। তেমনই লেবু জল খাওয়া যেমন উপকারী, এর কিছু সমস্যার দিক রয়েছে। প্রয়োজনের বেশি লেবু জল খেলে অম্বল, বুকজ্বালার মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। লেবুতে অ্যাসি়ড থাকায় দাঁতের জন্যেও ক্ষতিকারক। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস থাকলে লেবু জল খাওয়া উচিত হবে কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা নেওয়া জরুরি।