শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না তৈরি হয়, সে দিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
সুস্থ থাকতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। শরীরের ভালমন্দ নির্ভর করে জল খাওয়ার পরিমাণের উপর। জল শরীর আর্দ্র রাখে তো বটেই, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে। শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে জল। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম মূত্রাশয়ের সংক্রমণ। এ ছাড়াও পেশিসংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানেও সিদ্ধহস্ত জল। তাই শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না তৈরি হয়, সে দিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন।
জল খাওয়ার পাশাপাশি কখন জল খাচ্ছেন, সেই সময়টাও কিন্তু সমান জরুরি। খাওয়ার আগে না পরে, কখন জল খাওয়া ভাল, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। কারও মতে, খাওয়ার কিছু ক্ষণ আগে জল খেয়ে নেওয়া ভাল। তাতে হজম ভাল হয়। আবার কেউ মনে করেন, খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে জল খাওয়া ভাল। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা কী বলছেন?
এক জনের জল খাওয়ার সময় নির্ভর করছে তাঁর দৈহিক ওজনের উপরে। প্রতীকী ছবি।
তাঁদের মতে, এক জনের জল খাওয়ার সময় নির্ভর করছে তাঁর দৈহিক ওজনের উপরে। যাঁদের ওজন বেশি, স্থূলতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে জল খেয়ে নেওয়া জরুরি। আর যাঁদের ওজন খুব বেশি নয়, তাঁরা খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে জল খেতে পারেন। জল খাওয়া নিয়ে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?
১) খাওয়ার সময়ে কখনও জল খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, খাবারের সঙ্গে জল খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। ইনসুলিনের মাত্রা ওঠানামা করে।
২) সবচেয়ে ভাল হয় যদি খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে জল খান। এর ফলে শরীর খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করতে পারবে।
৩) সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল খাওয়া জরুরি। সারা দিন চনমনে থাকতে এই অভ্যাস ধারাবাহিক ভাবে বজায় রাখলে ভাল।
৪) অনেক ক্ষণ ধরে কাজ করার ফলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। সেই সময়ে এক গ্লাস জল খেলে শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা করে তোলার ক্ষমতা রাখে।