কয়েকটি অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। প্রতীকী ছবি।
গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত বেশি হয়। এই রোগের হাত ধরেই গ্যাস, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তির মতো শারীরিক কিছু সমস্যার জন্ম হয়। ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপো থাইরয়েডের রোগীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশি দেখা যায়। মূলত জল কম খাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, শরীরচর্চা না করার মতো কয়েকটি অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়। তবে আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের নেপথ্যে কাজ করে।
ফাইবার জাতীয় খাবার না খেলে
ফল, সব্জি, বাদাম, মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকের রোজের খাদ্যতালিকায় এই ধরনের খাবার থাকে না। শরীরের একটি উপকারী উপাদান হল ফাইবার। শরীরে ফাইবারের পরিমাণ হ্রাস পেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন প্রায় ৩৮ গ্রাম ফাইবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
প্রচুর পরিমাণে জল না খেলে
ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার খেলে জল খাওয়ার পরিমাণও বাড়াতে হবে। সারা দিনে কী পরিমাণ জল খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে হজমশক্তি। শরীরে জলের পরিমাণ কম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩-৪ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।
মরসুমি ফল না খেলে
শরীরে জলের অভাব ঘটলেই তখন নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। জল খাওয়ার পাশাপাশি, সরস ফল খাওয়াও সমান ভাবে জরুরি। ফলে রয়েছে ভিটামিন,ক্যালশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়ামের মতো বিভিন্ন উপকারী পুষ্টিগুণ। শরীরের অন্যান্য সমস্যা দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে ফল। তাই প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়া প্রয়োজন।