Acai Bowl Health Benefits

একঘেয়ে খাবারও নতুন মনে হবে, দেখলেই খেতে ইচ্ছা করবে! কোন জাদুতে তা সম্ভব?

প্রতি দিন একই রকম ভাবে ফল খেতে ভাল লাগে না? উপায় আছে হাতের কাছে। পুষ্টির অভাব হবে না, অথচ দেখলেই খেতে ইচ্ছা করবে, চেনা ফল দিয়ে ফল খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেবে। বানিয়ে ফেলুন ‘আসাই বওল’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
Share:
ফল খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেবে ‘আসাই বওল’। কী জিনিসটি?

ফল খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেবে ‘আসাই বওল’। কী জিনিসটি?

পাল্টে পাল্টে যতই ফল খান না কেন, প্রতি দিন একই রকম ভাবে একই ধরনের খাবার খেতে কার ভাল লাগে? এ ক্ষেত্রে মুশকিল আসান করতে পারে ‘আসাই বওল’।

Advertisement

বিষয়টি কী?

রকমারি ফল, কিন্তু তা পরিবেশন হবে একেবারে অন্য কায়দায়। খাবারের স্বাদ, উপস্থাপনের বৈচিত্রই ‘আসাই বওল’-এর মূল কথা। আসাই বেরি এই খাবারের মূল উপাদান। জমাট বাঁধা ঠান্ডা বেরির স্বাদ এবং রঙে বদলে যায় পুরো খাবারের রূপ।

Advertisement

শোনা যায়, আমাজনের রেনফরেস্ট থেকেই আসাই বেরির গাছ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ভারতে শুধু কেরলেই চাষ হয় এই ফলের।

কী ভাবে সাজাবেন বাটি?

বেগনি ফলের মিশ্রণই বাড়িয়ে দেয় খাবারের স্বাদ। ছবি: সংগৃহীত।

আসাই বেরির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন পছন্দের যে কোনও ফল। সেই তালিকায় কলা, অন্যান্য বেরিও থাকতে হবে। তবে কাটা ফল নয়, ‘আসাই বওল’-এ মূল স্তরে ফল পরিবেশন হয় অন্য ভাবে। প্রথমেই ফলগুলি মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন আপেলের রস, কাঠবাদামের দুধ বা নারকেলের জল। সমস্ত উপকরণ মিশে ঘন ক্রিমের আকার নেবে। আসাই বেরি থাকার কারণেই তার রং হবে বেগনি। পুষ্টিবিদ গরিমা গয়াল বলছেন, বওলের প্রথম ধাপে আসাই বেরি এবং অন্যান্য ফলের মিশ্রণ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে যোগ করতে হবে ফলের টুকরো, রকমারি বাদাম, সেঁকে নেওয়া বীজ, ওট্‌সের মতো উপাদান। যাতে ফলের মিশ্রণের সঙ্গে মুখে পড়ে বাদামের টুকরো, বা কুড়মুড়ে বীজ।

উপকারিতা

শুধু স্বাদে এবং রূপে নয়, আসাই বওল পুষ্টিগুণেও এগিয়ে।

১. বেরি থেকে শুধু করে রকমারি ফলে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। চুল এবং ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার জন্য তো বটেই, শরীর ভাল রাখতেও এটি জরুরি।

২. বেরি জাতীয় ফলে থাকে মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এই উপাদানগুলি জরুরি। আসাই বওল রক্তচাপ, কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩. এতে থাকা ওট্স, বীজে মেলে প্রচুর ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরিমিত পরিমাণে ফাইবার খাবারের তালিকায় থাকা খুব জরুরি।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপের জন্য ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে তার পরিমাণ কম হলে শরীরের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। আসাই বওলে যে হেতু রকমারি ফল ব্যবহৃত হয়, তাই খুব সহজে এই খাবার প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দিতে সক্ষম।

৫. বীজ এবং বাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। পুরো খাবারে কিছুটা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনও মেলে। ফলে এক পদেই শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement