প্রয়োজনের বেশি ফল খাওয়ার অভ্যাসে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানো থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— ফিট থাকতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। শরীর ভিতর থেকে ফিট থাকতে সাহায্য করে ফল। মিনারেলস, ফাইবার, ভিটামিনের মতো পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর নানা রকম ফল। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাসে নানা শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তবে ফল খাওয়ারও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ভালবাসেন মানেই রোজ প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে হবে, তার কিন্তু কোনও মানে নেই। দিনে একটি বা দু’টি করে ফল শরীরের জন্য উপকারী। ফল শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে হবে। প্রয়োজনের বেশি ফল খাওয়ার অভ্যাসে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে?
ফল খেয়েও বিপদে পড়তে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস
বেশির ভাগ ফলের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। ফলের মধ্যে দিয়ে অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ শরীরে প্রবেশ করার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীরে বাড়তি মেদ জমতে থাকে। ফলে স্থূলতার সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলি ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হজমের গোলমাল
ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ খেলে হজমের সমস্যা, পেটের গন্ডগোল দেখা দিতে পারে। ফল খেলে ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ (আইবিপিএস)-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, ডায়রিয়া— এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। তাই সুস্থ থাকতে ফল খান। তবে পরিমাণ মতো। মাত্রাধিক নয়।
ওজন বৃদ্ধি
অনেকেই দ্রুত ওজন ঝরাতে ভরসা রাখেন ফলে। অন্যান্য খাবারের পরিবর্তে সারা দিনে বেশি করে ফল খান। এতে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। শুধু ফল খাওয়ার ফলে অন্যান্য খাবার থেকে পাওয়া পুষ্টি যেমন প্রোটিন, ওমেগা ৩, ক্যালশিয়াম শরীরে যাচ্ছে না। এই ধরনের খাদ্যাতালিকা মেনে চলার ফলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে।
দাঁতের সমস্যা
ফলে শর্করা এবং অ্যাসিড রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই দু’টি উপাদানই দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকেই আছেন দ্রুত রোগা হবেন বলে সারা দিন প্রায় ফল খেয়েই থাকেন। এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বেশি ফল খেলে ওজন তো নিয়ন্ত্রণে থাকেই না, উপরন্তু দাঁতের ক্ষতি হয়। বেশি ফল খেলে দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে।