Healthy Diet

Eating on Time: রোজ সময় মতো খাবার খেলে কী কী লাভ হয়

খাওয়ার সময় অনিয়মিত হলে যেমন পৌষ্টিকতন্ত্রের একাধিক সমস্যা দেখা যায়, তেমনই দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক দীর্ঘমেয়াদী রোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৩০
Share:

সময় মতো খাবার খান ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন কাজের চাপে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার কথা মাথায় থাকে না অনেকেরই। এর ফলে পৌষ্টিকতন্ত্রের যেমন একাধিক সমস্যা দেখা যায় তেমনই দীর্ঘ দিন ধরে এই অনিয়ম চলতে থাকলে শরীরে বাসা বাধে একাধিক দীর্ঘমেয়াদী রোগ। অথচ একটু সচেতন হয়ে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার রয়েছে হাজার গুণ।

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। বিপাক হার
খাবারের সময় বিপাককে প্রভাবিত করে। সকালে, ঘুম থেকে ওঠার পর দারুন সক্রিয় থাকে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া। ফলে সকালে দ্রুত জলখাবার খেলে বিপাক প্রক্রিয়াটি আরও ভাল হয়। তা ছাড়া রাতে ঘুমের পর দীর্ঘ সময় খালি থাকে পেট। তাই সকালে বিপাকের জন্য জ্বালানী হিসেবে খাদ্যকণার প্রয়োজন মেটাতে পারলে চাঙ্গা হয় শরীর। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৌল বিপাক বা মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং এই কারণেই রাত ৮টার মধ্যে নৈশভোজ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
২। দুটি খাবারের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান:
যে কোনও খাবার পুরোপুরি হজম করতে মানুষের শরীর কমপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় নেয়। অর্থাৎ যে কোনও দুটি খাবারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৪ ঘণ্টার বেশি হতে হবে। এর চেয়ে কম ব্যবধানে খেলে অতিরিক্ত খাবারের দরুণ বদহজম এবং এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

৩। সক্রিয়তা বজায় রাখা
কাজ করার জন্য দরকার শক্তি আর পর্যাপ্ত খাদ্যই আমাদের সেই প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই সময় মতো না খেলে প্রতি দিনের কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে।
৪। বডি সাইকেল
খাবার খাওয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম। সময় মতো না খেলে সময় মতো শুতে যাওয়াও অসম্ভব। দেহের স্বাভাবিক দৈনন্দিন কার্যপদ্ধতি বজায় রাখতে হলে জেগে থাকা ও ঘুমের এই চক্রটিকে সঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫। সময়সূচী নির্মাণ
শারীরিক উপাকারের বাইরেও রোজ একই সময়ে খাওয়ার অভ্যাস একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করতে সহায়তা করে। ফলে যাঁরা অফিস কিংবা বাড়ির কাজের মধ্যে নিজের জন্য সময় বার করার অনবরত চেষ্টা করছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস তাঁদের অনেকটাই সহায়তা করতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement