কোন ৫ লক্ষণ খাদ্যনালির ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়? ছবি: শাটারস্টক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এই ক্যানসার। তবে এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে এখনও সম্যক ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে কম। বিশেষত, ক্যানসারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগের উপসর্গগুলি আমরা শরীরে পুষতে থাকি। ফলে পেরিয়ে যায় চিকিৎসার সময়। আর রোগটি এতটাই ভয়াবহ যে শরীরের কোনও অংশে এই রোগ বাসা বাঁধলে তা ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। বিরল ক্যানসারের মধ্যে অন্যতম হল খাদ্যনালির ক্যানসার।
খাদ্যনালির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কিছু উপসর্গ রয়েছে। তবে সেগুলি বেশ সাধারণ হওয়ায় অনেকের পক্ষেই বোঝা কঠিন যে এর কারণ ক্যানসার হতে পারে। মুখ, গলা ও খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের ক্যানসারকে ডেকে আনে। জেনে নিন কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন।
১) এই রোগের প্রাথমিক পর্যায় শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। পরবর্তী কালে তরল খাবার খেতে এমনকি, ঢোঁক গিলতেও কষ্ট হতে পারে। ঠান্ডা লাগলে গলাব্যথা হওয়া স্বাভাবিক, তবে কোনও কারণ ছাড়াই এই উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হোন।
ধূমপান, মদ্যপান ও তামাক সেবন খাদ্যনালিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ছবি: শাটারস্টক
২) এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে হজমের সমস্যাও দেখা যায়। বুকে জ্বালাভাব, বার বার ঢেকুর ওঠা, পেটে যন্ত্রণা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৩) হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, কোনও খাবারই খেতে ইচ্ছে না করা এই রোগের লক্ষণ।
৪) দীর্ঘ দিন ধরে কাশি, রাতে ঘুমের সময়ে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার গিলতে গেলে কষ্ট হলে সতর্ক হোন।
৫) বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা, খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা এই রোগের লক্ষণ।
৬) একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার সমস্যাতেও ভুগতে হয়।
৭) গলার স্বরেও বদল আসতে পারে।
যে ক্যানসারগুলির প্রকৃতি বিরল, তাদের লক্ষণগুলিও বিরল। তবে সব সময়ে মনে রাখতে হবে, উপসর্গ আছে মানেই সেটা ক্যানসার নয়। সেটি অন্য কোনও রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু এই উপসর্গগুলি থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করিয়ে নেওয়া শ্রেয় যে, আদৌ ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কি না।
খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি কী ভাবে এড়ানো যায়?
ধূমপান, মদ্যপান ও তামাক সেবন খাদ্যনালিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। ওবিসিটিও ক্যানসার ডেকে আনে। এ ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। তাই পুষ্টিকর খাদ্যাভাস করতে হবে, সঙ্গে শরীরচর্চাও জরুরি। অত্যধিক গরম চা, কফি পানের অভ্যাস ভাল নয়।