জায়ফলের গুঁড়ো দেওয়া দুধের উপকারিতা অনেক। ছবি: সংগৃহীত।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে চান? অনিদ্রাকে জব্দও করতে চান? রান্নাঘরেই আছে তার অনেক রাস্তা। এগুলির মধ্যে অন্যতম জায়ফল। নিয়মিত জায়ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি তো পাবেই, এর পাশাপাশি আরও বহু গুণ আছে এই মশলার।
পুষ্টিবিদেদের পরামর্শ, এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি জায়ফলের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা খুবই উপকারী। দুধকে এমনিতেও বলা হয় সুষম খাবার। দুধে রয়েছে রাইবোফ্ল্যাভিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং বি১২। তা ছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ। তাই ডায়েটে রোজ দুধ থাকলে হাড়ের জোর বাড়ে। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও মেটে। আর এর সঙ্গে যদি মেশে জায়ফল, তাহলে তো কথাই নেই।
বলা হয়, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধেই বাড়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ থেকেও রেহাই মেলে। আর দুধে যদি অল্প জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে দেন, তাহলে উপকার হবে বেশি।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা জায়ফল শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের যে কোনও রোগকে ঠেকাতেও সিদ্ধহস্ত এই মশলা। জায়ফল ঘুমাতেও সাহায্য করে। যাঁরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা দুধে মিশিয়ে জায়ফল গুঁড়ো খেলে উপকৃত হতে পারেন।
রাতে বেশি খাওয়া হয়ে গেলে বদহজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। জায়ফল দেওয়া দুধ খেলে হজমের সমস্যা কমে যেতে পারে। রাতবিরেতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতেও কার্যকরী জায়ফল।
গাঁটের পুরনো ব্যথা কমাতেও জায়ফল কাজে দেয়। যাঁরা নিয়মিত এটি খান, তাঁদের হাঁটু, কোমরের ব্যথা কমতে পারে। অনেকের মতে, রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এটি। তবে ডায়াবিটিসের রোগীরা জয়ফলের গুঁড়ো মেশানো দুধ খাবেন কি না সেটা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
কী ভাবে বানাবেন জায়ফল দেওয়া দুধ? একটি পাত্রে এক গ্লাসের মাপে দুধ গরম করে নিন। তাতে ১ চা চামচ জায়ফলের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। যদি কেশর থাকে বাড়িতে তাহলে তাতে দিন ২-৩ টি কেশর। এবার মিশিয়ে নিয়ে চুমুক দিন।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। জায়ফলের গুঁড়ো মেশানো দুধ সকলের সহ্য না-ও হতে পারে। অনেকেরই বিভিন্ন অসুখবিসুখ আছে। খাবারেও বিধিনিষেধ আছে। তাই অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।