শরীরের জলের অভাব ঘটলে সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, মানসিক উদ্বেগ— এমন কিছু কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থেকেই জন্ম নেয় হৃদ্রোগ। তাই রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী ৩০-৭৯ বছর বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি দেখা যায়। হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ আরও অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়।
রক্তচাপের কারণে ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে থাকা বিভিন্ন কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে ধমনী সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। ফলে পরবর্তীতে স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু বদল আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খাওয়াদাওয়াতে বিধিনিষেধ ছাড়াও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেও বলেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে বেশি করে জল খাওয়ার কথাও কিন্তু বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এই রোগে শরীর আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। শরীরের জলের অভাব ঘটলে সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। শরীর আর্দ্র থাকলে হৃৎপিণ্ড সহজে রক্ত পাম্প করতে পারে।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে রক্তচাপ এড়াতে বেশি করে জল খাওয়ার চেয়ে ভাল দাওয়াই আর হতে পারে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মত অনুসারে, বেশি করে জল খাওয়া ছাড়াও রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানসিক চাপ কম করা, ধূমপান না করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও প্রয়োজন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে প্রতি দিন কতটা পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন?
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। জল রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। রক্তে মিশে থাকা বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলি শরীর থেকে বাইরে নির্গত করে জল।
পুষ্টিবিদরা অবশ্য জল খাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্র্যানবেরি রসের উপকারিতার কথাও বলেছেন। ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্তপ্রবাহকে উন্নত করে।