কলার খোসাও কম উপকারী নয়। ছবি: সংগৃহীত।
ফলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর হিসাবে কলার বেশ নামডাক রয়েছে। ওজন কমানো থেকে প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি— কলার বিকল্প নেই। তা ছাড়ায় কলায় পটাশিয়াম থাকায়, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রোজ একটি করে কলা খেতে পারলে অনেক রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমে যায়। তবে শুধু কলা নয়, এর খোসাও সমান স্বাস্থ্যকর। কলার খোসা জায়গা হয় ডাস্টবিনে। অথচ এই খোসা যদি খাওয়া যায়, তা হলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে তার জন্য খোসা সহ কলা খেতে হবে না। খোসা দিয়ে বানাতে পারেন বেশ কিছু খাবার। রইল তার কয়েকটি সন্ধান।
স্মুদি
আম, লিচু, তরমুজের স্মুদি তো খাওয়া হয়েই থাকে। কিন্তু কলার খোসা দিয়ে কখনও স্মুদি বানিয়েছেন কি? বেশির ভাগের উত্তরই হবে, না। তা হলে কলা খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। চাইলে অন্য কোনও স্মুদির সঙ্গে এটি মিশিয়ে নিতে পারেন। তা হলে বেশি পরিমাণে ফাইবার, মিনারেলস, ভিটামিন পাবে শরীর।
পাঁচমিশালি সব্জিতে
নানারকম সব্জি দিয়ে তরকারি মাঝেমাঝেই বা়ড়িতে রান্না হয়। সেই রান্নায় কলার খোসাও থাকতে পারে। এতে স্বাদের একটা বদল আসবে। সেই সঙ্গে তরকারি স্বাস্থ্যকর হয়েও উঠবে।
মাফিন
উৎসব-অনুষ্ঠানে বাড়িতে মাঝেমাঝেই কেক বানান অনেকে। কেকের বানানোর নতুন উপকরণ হতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ক্বাথ বানিয়ে কেকের মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে তার পরে বেক করতে বসান। কেক সুস্বাদু হবে তো বটেই, স্বাস্থ্যকরও হয়ে উঠবে।
আচার়
কলার খোসা দিয়ে দারুণ স্বাদের আচারও বানাতে পারেন। তার জন্য কলার খোসাগুলি প্রথমে ভিনিগার, চিনি এবং বিভিন্ন মশলা মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। স্যালাড কিংবা স্যান্ড উইচের সঙ্গে এই আচার বেশ ভাল জমবে।