সব্জিও অস্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা সেটাই বলেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় প্রথমেই আসে শাকসব্জি। শরীরের যত্নআত্তিতে সব্জি খাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে এই গরমে নানা রোগবালাইয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে, সব্জি খাওয়ার উপরেই জোর দিয়েছেন অনেকে। অসহনীয় গরমে মাছ, মাংস, ডিমের বদলে সব্জির নানা পদ রান্না হচ্ছে হেঁশেলে। সব্জি খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে কোনও দ্বিধা না থাকলেও, কিছু সব্জি গরমে খেতে নিষেধ করা হয়। তাতে নাকি হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কোন সব্জিগুলি গরমে না খাওয়াই শ্রেয়?
বেল পেপার
নিরামিষ রান্নায় অনেকেই বেলপেপার ব্যবহার করেন। তা ছাড়া স্যালাডেও বেলপেপার থাকে। বেলপেপার উপকারী হলেও হজম হতে সময় নেয়। এই গরমে সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। সেই কারণেই বেল পেপার খেতে বারণ করা হয়। না হলে হজমের গোলমাল বেড়ে যেতে পারে।
মুলো
মুলোর জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত না হলেও, এর উপকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার উপায় নেই। উপকারী হলেও মুলো গরমে না খাওয়াই শ্রেয়। দাবদাহে এমনিতেই অতিষ্ঠ জীবন। সেখানে মুলো খেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ এই সব্জি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে পেট গরম হয়ে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কথা ভাবা অসম্ভব। রান্নায় স্বাদ আনতে পেঁয়াজের ভূমিকা অনবদ্য। তবে পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা সুস্বাদু খাবারে রোজ খেলে পেট গরম হতে পারে। তবে স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া যেতে পারে। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ শরীর ঠান্ডা রাখে।
রসুন গরমে যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
রসুন
আমিষ রান্নায় পেঁয়াজের দোসর হল রসুন। পেঁয়াজ এবং রসুন পড়লে যেকোনও সাধারণ রান্নার স্বাদ অসাধারণ হয়ে ওঠে। তবে রসুন গরমে যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। রসুন শরীর গরম করে তোলে। শীতকালে রসুন খাওয়া যতটা স্বস্তির, গরমে ঠিক ততটাই অস্বস্তির হয়ে উঠতে পারে।
কুমড়ো
পাঁচমিশালি নিরামিষ তরকারিতে কুমড়ো থাকেই। তবে গরমে কুমড়ো বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। কুমড়োতে রয়েছে অতি উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট, যা সহজে হজম হওয়ার নয়। কুম়ড়ো খেয়ে পেটের গোলমাল ডেকে আনার কোনও মানে হয়