খাবার বেক করার ক্ষেত্রেও চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদরা চিয়া বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নানা রকম পুষ্টিগুণের জন্য ক্রমশই এই বীজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ‘সালিভা হিসপানিকা’ নামক উদ্ভিদ থেকে এই বীজ পাওয়া যায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে স্বাস্থ্যসচেতনদের রোজের ডায়েট আলো করে থাকে এই বীজ। এই বীজের উপকারিতার শেষ নেই। খাবার বেক করার ক্ষেত্রেও চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়। আবার পুডিং এবং স্যালাডের সঙ্গেও এই বীজ খাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বীজ দুধ অথবা জলে ভিজিয়ে খেলেই বাড়তি উপকারিতা পাওয়া যায়। চিয়া ওজন কমায় ঠিকই, কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহারে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যাও।
হজমের সমস্যা
বেশি চিয়া বীজ খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ফাইবার উপকারী। কিন্তু বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ফাইবার হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশি নয়।
রক্ত পাতলা করে দেয়
চিয়া বীজে ওমেগা ৩ রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই উপাদান রক্ত পাতলা করে। শরীরের পক্ষে যা ভাল। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তেমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চিয়া বীজ খাওয়া যেতে পারে।
শর্করার মাত্রা একেবারে কমিয়ে দেয়
চিয়া বীজে ফাইবার রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাতে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। কিন্তু শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আবার ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও চিয়া বীজ কিন্তু ক্ষতিকর। ইনসুলিন নিলে এই বীজ থেকে দূরে থাকাই ভাল।