ঠান্ডা লাগার ধাত যাঁদের রয়েছে, বর্ষায় সতর্ক থাকা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা মানেই পেটের গোলমাল। বাইরের খাবার খেলে তো বটেই, এমনকি, বাড়িতেই একটু বেশি তেল-মশলা দিয়ে রাঁধলেও পেটে নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। পেটখারাপ কিন্তু বর্ষার একমাত্র খারাপ দিক নয়। এই মরসুমে সর্দি-কাশির সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বর্ষায় বৃষ্টি নামার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। সব সময় ছাতাও থাকে না কাছে। বৃষ্টির জল গায়ে পড়লেই শুরু হয়ে যায় সর্দি, নাক টানা, জ্বর জ্বর ভাব। তা ছাড়া বর্ষার আবহাওয়া এমনিতেই বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা লাগার ধাত যাঁদের রয়েছে, এই সময় বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। তবে সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ভিটামিন সি খান
সাইট্রাসজাতীয় ফলে ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে। সর্দি-কাশির সমস্যা ঠেকাতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এই ভিটামিন। আঙুর, কমলালেবু, বেরি এবং বেশ কিছু ফলে ভিটামিন সি রয়েছে। এই সময় নিয়মিত সেগুলি খান।
পাতে থাকুক সবুজ শাকসব্জি
বর্ষায় সব্জি খান বেশি করে। এই সময় বাজারে নানা বাহারি রঙিন সব্জি পাওয়া যায়। প্রত্যেকটিই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। উপকারী এই সব্জিগুলি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্রকোলি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, গাজর বেশি করে খান। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকবেন।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন
বৃষ্টিতে ভিজলে কিংবা ফ্রিজের জল খেলেই যে ঠান্ডা লাগতে পারে, তা কিন্তু নয়। নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণেও জ্বর, কাশি-সর্দি হতে পারে। তাই বাইরে থেকে ফিরেই সব সময় সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন। খাবার খাওয়ার আগে সেটি ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
অত্যধিক পরিশ্রমে অনেক রোগবালাই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়লে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শরীর কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করার সুযোগ পায় না। তখনই হানা দেয় নানা অসুখ। জ্বর, ঠান্ডা লাগা এড়াতে তাই বিশ্রাম নিন।
বেশি করে জল খান
শরীরে জলের ঘাটতি হলেই নানা রোগের ঝুঁকি থেকে যায়। জ্বর, সর্দি-কাশিও কিন্তু সেই তালিকায় রয়েছে। বর্ষাকালে সারা দিন ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া দেয়। গরমও কম লাগে। ফলে জল খাওয়ার চাহিদাও কমে। সুস্থ থাকতে চাইলে তেমনটি করলে চলবে না। বেশি করে জল খেতে হবে।