Dental Hygiene

ঘন ঘন চকোলেট, মিষ্টি খেয়ে শিশুর দাঁতে ব্যথা? বাবা-মায়েরা কী ভাবে যত্ন নেবেন?

খাবার মুখের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ রেখে দেওয়ার অভ্যাস অনেক শিশুরই থাকে। তা ছাড়া ভাল করে না চিবিয়ে খাবার গিলেও ফেলে অনেক শিশু। তার উপর দেদার চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম, ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খাওয়া তো রয়েছেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১০:৩৪
Share:

দাঁতের ব্যথায় কাতর শিশু? কী থেকে ব্য়থা হচ্ছে, বুঝবেন কী করে বাবা-মায়েরা? ছবি: ফ্রিপিক।

শিশু বায়না করলেই চকোলেট কিনে দেন? চকোলেট বিস্কুট বা কুকিজ় ছাড়া খায় না খুদে? তা হলে কিন্তু বিপদ ঘনাচ্ছে নিঃশব্দে। চকোলেট, বিস্কুটের ক্রিম খুদের দাঁতের জন‍্য কতটা ক্ষতিকর, সেটা ভুলে গেলে চলবে না। যদি দেখেন শিশুর প্রায়ই দাঁতে ব্যথা হচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে দাঁতে, মাড়িতে সংক্রমণ হতে শুরু করেছে। অনেককেই বলতে শুনবেন, দাঁতে পোকা হয়েছে। কিন্তু দাঁতে কি আদৌও পোকা হয়? দন্ত চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দাঁতে পোকা বলে কিছু হয় না। হয় ‘ডেন্টাল ক্যারিস’। এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ, যা দাঁতের ক্ষয় করতে থাকে। সেই কারণেই দাঁতে ব্যথা হয়।

Advertisement

খাবার মুখের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ রেখে দেওয়ার অভ্যাস অনেক শিশুরই থাকে। তা ছাড়া ভাল করে না চিবিয়ে খাবার গিলেও ফেলে অনেক শিশু। এর উপর দেদার চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম, ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খাওয়া তো রয়েছেই। আর এই সুযোগ নিয়েই মুখের মধ্যে বসবাসকারী জীবাণুরা ওই খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিডে দাঁত ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে গর্ত তৈরি হয়। তাই কম বয়স থেকেই যদি সন্তানের দাঁতের যত্ন নিতে শুরু না করেন, তা হলে পরে খুদেকেই ভুগতে হবে বিভিন্ন রকম সমস‍্যায়।

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন দাঁতে, মাড়িতে সংক্রমণ হচ্ছে?

Advertisement

প্রথমে দাঁতের উপর কালো বা বাদামি ছোপ পড়বে। বাবা-মায়েরা খেয়াল করে দেখবেন, দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করলে ক্রমশ এই রং গাঢ় হতে থাকবে। গরম, ঠান্ডা বা মিষ্টি খেলে শিরশিরানি অনুভূতি হবে। এই সময়েই চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া জরুরি। নইলে পরে প্রচণ্ড ব্যথায় রাতের ঘুম নষ্ট হতে পারে। পরবর্তী কালে ব্যথার চোটে মুখও ফুলে যেতে পারে।

কী ভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন?

১) রোজ দু’বেলা দাঁত মাজার অভ‍্যাস করান শিশুকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতের খাবার খাওয়ার পর।

২) পর্যাপ্ত জল খাওয়াতে হবে শিশুকে। শরীরে যেন জলের অভাব না হয়।

৩) খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে। শিশু যেন মুখের মধ্যে অনেক ক্ষণ খাবার রেখে না দেয়, লক্ষ করবেন।

৪) মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। ঘন ঘন চকোলেট কিনে দেবেন না।

৫) বাইরের খাবার, ভাজাভুজি শিশুকে দেবেন না। ঘরে তৈরি কম তেলে রান্না খাবার দিন। শিশুকে চকোলেট না দিয়ে বিভিন্ন রকম বাদাম খাওয়ান। কাঠবাদাম, ব্রাজিল নাট ও কাজু দাঁতের জন্য বেশ ভাল। বাদমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস। পাশাপাশি, বাদামে থাকে ভিটামিন ডি, যা দাঁত ভাল রাখে।

৬) নরম পানীয় খেতে খুবই পছন্দ করে খুদেরা। কিন্তু এই নরম পানীয়ে থাকে অতিরিক্ত চিনি। কিছু ক্ষেত্রে থাকে অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডও। তাই এই ধরনের পানীয় দাঁতের জন্য বিপদ ডেকে আনে। নরম পানীয়ের বদলে দুধ খেতে উৎসাহ দিন। ঘরেই তৈরি করে দিন ফলের রস।

৭) শিশুর দাঁতে বাদামি বা কালো ছোপ দেখলেই দন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সম্ভব হলে ৬ মাস অন্তর শিশুর দাঁতের পরীক্ষা করিয়ে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement