Heart Care Tips

হার্ট ভাল রাখার তিন মূল মন্ত্র কী কী? রোজের জীবনযাপনেই মেনে চলতে হবে এই নিয়ম

মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। এ দিকে দুশ্চিন্তা, অত্যধিক উদ্বেগ হৃদ্‌রোগের অ্যতম কারণ হয়ে উঠছে। তাই দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলেই শরীর ও মন ভাল থাকবে। সেই সঙ্গে সতেজ থাকবে হার্টও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ২০:০৪
Share:

হার্ট ভাল রাখতে কী কী মানবেন। ছবি: ফ্রিপিক।

এখনকার দিনের অন্যতম বড় সমস্যা হৃদ্‌রোগ। যদি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হয়, তা হলে সবচেয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে রোজের শরীরচর্চা এবং ডায়েটের দিকে। সবই শুরু করতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব। ছাড়তে হবে ধূমপানের মতো বদভ্যাস। নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো শত্রুকে। সেই সঙ্গে নিয়মিত হার্টের পরীক্ষা করাতে হবে। কাজেই জেনে নিন, হার্ট সুস্থ ও সবল রাখার মূল মন্ত্র কী কী।

Advertisement

শখে নয়, নিয়মে হোক শরীরচর্চা

শরীরচর্চা করার আগে কিছু বিষয় বুঝে নিতে হবে। কী ধরনের ব্যায়াম করবেন, কত ক্ষণ ধরে করবেন, রোজই করবেন কি না। এই বিষয়গুলি অনেকের কাছেই স্পষ্ট থাকে না।

Advertisement

হার্ট ভাল রাখার জন্য কার্ডিয়ো ব্যায়াম জরুরি। তা হাঁটা বা দৌড়নো হতে পারে, কেউ ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন, সাঁতার কাটতেও পারেন।

যা-ই করুন, চেষ্টা করা উচিত রোজ অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করার। সময়ের অভাব হলে সকাল ও বিকেল দু’বেলা মিলিয়েও করা যেতে পারে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন শরীরচর্চা করা উচিত। তবে ২০ বছরের বয়সি কেউ হার্ট ভাল রাখার জন্য যে ব্যায়াম করবেন, ৫০ পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তি সেই ব্যায়াম করবেন না। তাই বয়স, শরীরের অবস্থা বুঝেই ব্যায়াম করা উচিত। সে জন্য অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

খাওয়াদাওয়ার ভারসাম্য খুব জরুরি

তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, রোজ রোজ রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াত ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া— রোজের খাবারে এই সব ভুলভ্রান্তি হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন, এমন রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে ডায়েটে বদল আনা ভীষণ জরুরি।

হার্ট ভাল রাখার জন্য সুষম আহারই জরুরি। রোজের খাওয়া, যেমন ভাত, রুটি, ডাল, সব্জি, ডিম, মাছ, মাংস, ফলমূল, দুধ— সব মিলিয়েই খেতে হবে। ডাল রোজ খাওয়া ভাল, যা থেকে প্রোটিনের চাহিদা মিটতে পারে। খেতে হবে সবুজ শাকসব্জি। ফাইবার, খনিজ, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে সেগুলিই। ভাত-রুটিতে শর্করার চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য মাছ জরুরি। দুধ খেতে না পারলে ছানা, পনির খাওয়া যেতে পারে। প্রোবায়োটিকের জন্য পাতে রাখতে হবে টক দই।

মিষ্টি না খাওয়াই ভাল

মিষ্টি এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শই দেন হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা। চিনি খাওয়া বন্ধ করার অভ্যাস করতে শুরু করলে, কয়েক দিন পরে আর তা খারাপ লাগবে না। আর চিনি যদি অন্তত দু'সপ্তাহের জন্যও বন্ধ করেন, তা হলেও তফাৎটা বুঝতে পারবেন। দেখবেন, মেদ কমছে ধীরে ধীরে। রক্তচাপের ওঠানামা কমছে। কারও উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে, তার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে যাবে কিছু দিনেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement