বাইরে ঘুরতে গিয়ে পছন্দের খাবার খেয়েও ডায়েট করা যায়, নিয়ম শিখে নিন। প্রতীকী ছবি।
বাইরে ঘুরতে গিয়ে যা খুশি খেয়ে ফেলেন? তার পরেই নিশ্চয়ই শরীর খারাপ হয়। অনেকেই ভাবেন, বাইরে ঘুরতে গেলে সঠিক ডায়েট মেনে চলা সম্ভব নয়। তেমনই শরীরচর্চাও করা যায় না। আবার এটাও সত্যি, হাতের কাছে যে সব সময় পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যাবে, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে ভ্রমণের সময়েও ডায়েট করা যাবে এবং শরীরও সুস্থ থাকবে।
ডায়েট মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেওয়া নয়। বাইরে ঘুরতে গেলে পছন্দের খাবার অবশ্যই খাবেন, তবে পরিমিত। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, ঘুরতে গেলে সব সময়ে ব্যাগে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স রাখতেই হবে। কারণ বাইরে গেলে ঘড়ি ধরে খাওয়া সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। আবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ফাঁকা দিলেও মুশকিল। তাই ব্যাগে মাল্টিগ্রেন বিস্কুট, রোস্টেড ছোলা, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং টাটকা ফল রাখুন। রোস্টেড মাখানাও রাখতে পারেন। এই সব খাবার সব জায়গাতেই পাওয়া যাবে এবং পুষ্টিকরও বটে।
ক্যালোরির পরিমাণও খেয়াল রাখতে হবে। ঘন সস্, মেনোনিজ়, ভারী স্যালাড ড্রেসিং, ময়দা দিয়ে বানানো খাবার, কুকিজ়-পেস্ট্রি পরিমিত খান। স্যান্ডউইচ খেলেও তা সব্জি ও চিকেন দেওয়া খান। চিজ় বা মেয়োনিজ় যতটা কম খাওয়া যায়, ততই ভাল।
রেস্তরাঁয় খেতে গেলে স্যালাড, গ্রিলড সব্জি, সিদ্ধ চিকেন বা গ্রিলড চিকেন খেতে পারেন। ভাজাভুজি কম খাওয়াই ভাল।
শরীরচর্চা করতে না পারলেও, হোটেলের ঘরে পুশ-আপ, সিট-আপ, স্পট মার্চিং ইত্যাদি অত্যন্ত সহজ কিছু শরীরচর্চা করাই যায়। এর জন্য জিমে ছোটারও প্রয়োজন নেই। ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতি দিন ১০-১৫ মিনিট এই ব্যায়ামগুলি করলেও শরীর ঝরঝরে থাকবে।
শরীর তরতাজা রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। বাইরে গিয়ে জল কম খান অনেকেই। বেশি করে জল খেতেই হবে। সম্ভব হলে ডিটক্স পানীয় বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
বাইরে ঘুরতে গিয়ে প্যাকেটজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল কম খাওয়াই ভাল। ফ্রোজেন ফুডও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ওট্স, কিনোয়ার মতো পদ অর্ডার দিন। রেড মিট কম খেয়ে মাছ খেতে পারেন। সামুদ্রিক মাছ পাওয়া গেলে তা খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ফ্যাট, উপকারী তেল, ভিটামিন, আয়োডিন, কপার, জ়িঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ উপাদান ভরপুর মাত্রায় থাকে। তবে চিংড়ি বা কাঁকড়া বুঝেশুনেই খাবেন। এই ধরনের সামুদ্রিক খাবার ঠিকমতো রান্না না হলে তা থেকে অ্যালার্জির সংক্রমণ হতে পারে।