গরমে র্যাশের সমস্যা সামাল দেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে কবে মুক্তি মিলবে, কবে দেখা মিলবে বৃষ্টির সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস। বরং ক্রমশ পারদ চ়়ড়ছে উত্তাপের। তীব্র রোদে বেরোলেই ঘেমে জল হয়ে যাচ্ছে শরীর। শারীরিক অস্বস্তি তো আছেই, সেই সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যারও ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ঘাম হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। তাই ঘাম হওয়া ভাল। শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। গরমে ঘামের সঙ্গে ত্বকের যে সমস্যা জড়িয়ে থাকে, তা হল র্যাশ এবং ঘামাচি। ভ্যাপসা গরমে এই ধরনের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কী ভাবে সামাল দেবেন?
১) র্যাশ বা ঘামাচির অস্বস্তি সহ্য করতে না পেরে অনেকেই নখের আঁচড় দিয়ে ফেলেন। তবে নখের স্পর্শেই বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে। চুলকানি এবং প্রদাহ কমাতে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) এই গরমে শুধু ঘামাচিই নয়। ছত্রাক-সহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই নিয়ম করে দিনে দু’বার স্নান করা জরুরি। সঙ্গে সুতির পোশাক পরলেও ত্বক ভাল থাকে।
৩) গামছা, তোয়ালে কিংবা চিরুনি থেকেও ত্বকের জীবাণুঘটিত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই অন্যের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ত্বকে সংক্রমণ হলে নিজে থেকে স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম কিনে ব্যবহার করবেন না। এতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের রোগবালাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।
৫) গরমে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে একেবারেই বেরোবেন না। না হলে ত্বকে এর প্রভাব পড়তে পারে। ঘাম জমে র্যাশ, ঘামাচি হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।