ছবি: সংগৃহীত।
জিম আর ডায়েটই যদি ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা হয়, তা হলে কি খাদ্যরসিক আর কম পরিশ্রমীদের রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে? পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, সেটা একেবারেই নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলে রোগা হওয়া সহজ হয় ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওজন ঝরানোর আর অন্য কোনও রাস্তা নেই। রোজ তিন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চললেই রোগা হওয়া সহজ হবে।
গরম জল খাওয়া
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল খেয়ে সকাল শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে রোগা হতে চাইলে গরম জল বেশ কার্যকর। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতে গরম জলের জুড়ি মেলা ভার। হজমের উন্নতিতেও দারুণ সাহায্য করে গরম জল।
জলখাবারে প্রোটিন
ওজন কমানোর সময়ে অনেকেই প্রোটিন ঠিক মতো খান না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভরপুর প্রোটিন আছে এমন খাবার অনেক ক্ষণ পেট ভর4তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে। অনেক ক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করার শক্তিও জোগায় উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। ডায়েটের পর্বে শরীরে শক্তি জোগাতেও প্রোটিন খাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
পুরোপুরি কার্ব বাদ নয়
ডায়েট মানেই ভাত, রুটি খাওয়া একেবারে বন্ধ। আর সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করলে ওজন হয়তো নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সারা ক্ষণই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছা করে। তার ফলে ওজনও বাড়তে থাকে। তাই পুরোপুরি কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা ঠিক হবে না।