— প্রতীকী চিত্র।
খেতে ভাল লাগে কিন্তু, অম্বলের ভয়ে দক্ষিণী খাবার খেতে পারেন না মোটে। সেই একই ভয় কাজ করে পান্তার ক্ষেত্রেও। খেলেই গলা-বুক জ্বালা, মুখের ভিতর টক হয়ে দাঁত সুড়সুড় করে অনেকের। অথচ স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্যে ইচ্ছে করেই কিছু খাবার মজাতে দেওয়া হয়। এই খাবার মজানো আসলে একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। যা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে না। দীর্ঘ দিন ধরে খাবার সংরক্ষণ করতেও সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রদেশে এই জাতীয় খাবার খাওয়ার চল রয়েছে। যাতে খাবার তাড়াতাড়ি নষ্ট না হয় তাই প্রাচীন কালে তা মজিয়ে রাখার পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন এই ধরনের খাবার খেলে পেটে অম্লত্বের পরিমাণ বে়ড়ে যায়। তা একেবারে ভিত্তিহীন নয়। তবে এই ধরনের খাবার যে কোনও উপকার করে না, তা-ও নয়। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপের সঙ্গে অন্ত্রের যোগ রয়েছে। শরীর সামগ্রিক ভাবে ভাল রাখতে অন্ত্রে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই মজানো খাবারগুলি।
— প্রতীকী চিত্র।
মজানো খাবার খেলে কী কী উপকারে লাগে?
১) অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে দই, ধোকলা, ইডলি, দোসাজাতীয় খাবার।
২) খাবারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগ যেমন আয়রন, জিঙ্ক শোষণ করতে সাহায্য করে।
৩) মজানো খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসাবেও কাজ করে এই খাবারগুলি।