পর্যাপ্ত যত্নের অভাবেই যে একমাত্র এমনটা হয়, তা কিন্তু নয়। প্রতীকী ছবি।
চুলের সমস্যা নিয়ে অনেকেই নাজেহাল। এই তালিকায় যে শুধু মেয়েরা আছেন, এমন ভাবলে কিন্তু এক প্রকার ভুলই করা হবে। চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, তাড়াতাড়ি পেকে যাওয়ার মতো হাজার সমস্যা ভোগ করেন ছেলেরাও। মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে কেশ সংক্রান্ত নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন। পর্যাপ্ত যত্নের অভাবেই যে একমাত্র এমনটা হয়, তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু জটিল রোগের কারণও লুকিয়ে থাকতে পারে এই ধরনের লক্ষণগুলিতে। চিকিৎসকরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, টাইপ ২ ডায়াবিটিস শরীরের বাসা বাঁধলেও মাথায় তার নানা লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি টাইপ ২ ডায়াবিটিসের শিকার?
১) নতুন চুল না গজালে।
২) মাথার বিভিন্ন অংশে চুলের বৃদ্ধির হারে ভারসাম্য না থাকলে।
৩) চুল খুব দ্রুত হারে বাড়লে।
বেশ কিছু জটিল রোগের কারণও লুকিয়ে থাকতে পারে এই ধরনের লক্ষণগুলিতে। প্রতীকী ছবি।
বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারিবিদ্যা বিভাগের গবেষকদের করা ২০১৯ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সঙ্গে মহিলাদের মাথার চুল পড়ার যোগাযোগ আছে। ‘ইন্ট্যারন্যাশনাল জার্নাল অফ উইমেনস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রেও এমন কথা লেখা রয়েছে। তাই কোনও কারণ ছাড়া বেশি চুল পড়লে সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মত চিকিৎসকদের।
২০১৬ সালে প্রকাশিত আরও একটি গবেষণা জানাচ্ছে, চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে শরীরের অন্দরে জন্ম নেওয়া কোনও অসুস্থতা। শরীরে অক্সিজেন এবং বেশ কিছু পুষ্টির অভাব তৈরি হলেও কিন্তু চুল ক্রমশ নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। চুল ক্রমাগত পাতলা হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল না বাড়ার মতো কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়। অনেকেই এই ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান। নিত্যদিনের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান বেশির ভাগই। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাইপারগ্লাইসেমিয়া কিংবা ডায়াবিটিসের সঙ্গে কিন্তু অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে। চুল পড়া এবং এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলির অবশ্যই ডায়াবিটিসের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তবে এটাই টাইপ ২ ডায়াবিটিসের একমাত্র লক্ষণ নয়। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’ টাইপ ২ ডায়াবিটিসের আর কী কী উপসর্গের কথা বলছে?
১) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করা
২) সব সময়ে তেষ্টা পাওয়া
৩) সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগা
৪) ওজন কমে যাওয়া
৫) দ্রুত ক্ষত না সারা
৪০-এর পর থেকে সাধারণত এই লক্ষণগুলি বেশি করে দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।