উষ্ণতার খোঁজে অনেকেই পায়ে মোজা পরে ঘুমোতে যান। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের দাপটে কাঁপছে গোটা দেশ। শহরের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। সকালে কোনও মতে স্নান সেরে নিচ্ছেন অনেকেই। সন্ধে হলেই রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে উনুনের আঁচে হাত-পা সেঁকে নিচ্ছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে বিছানায় যেতেই ভয়ে শিউরে উঠছেন। মনে হচ্ছে কেউ যেন বিছানায় ঠান্ডা জল ঢেলে রেখেছে। নিজের গায়ে নিজের হাত-পা ঠেকতেই লাফিয়ে উঠছেন। রোদে দেওয়া লেপ-কম্বলের তলায় শুয়েও ঠান্ডা বরফের মতো পা গরম হতে চায় না অনেকের। উষ্ণতার খোঁজে অনেকেই পায়ে মোজা পরে ঘুমোতে যান। তাতে গা তো গরম হয়, কিন্তু শরীরের কোনও উপকার হয় কি?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাল ঘুমের সঙ্গে দেহের তাপমাত্রার সম্পর্ক রয়েছে। পায়ের পাতা উষ্ণ থাকলে সহজেই দু’চোখে ঘুম নেমে আসে। ‘ফিজ়িয়োলজি অ্যান্ড বিহেভিয়ার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্যটি। তবে বিজ্ঞানীরা এ-ও জানিয়েছেন যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই টোটকার কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। আবার যাঁদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফিকির কাজ না-ও করতে পারে। গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখার পর রাতে অনেকেরই ঘুম ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পায়ে মোজা পরে ঘুমোলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে ঘুম আসে সহজেই। ‘ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন’এর দেওয়া তথ্য বলছে, মধ্যরাতে হঠাৎ যাঁদের ঘুম ভেঙে যায়, তাঁরাও মোজা পরে ঘুমোতে পারেন। তবে মোজা পরে ঘুমোতে চাইলে তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১) শীতে মোজা পরে ঘুমোতে হলে পায়ের সঠিক মাপের মোজা কিনতে হবে। খুব আঁটসাট, আবার খুব ঢিলে মোজা পরলে কিন্তু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
২) রাতে ঘুমোনোর সময়ে সুতি কিংবা উলের মোজা পরতে হবে। ইদানীং নাইলন কিংবা অন্য ফ্যাব্রিকের বাহারি মোজা কিনতে পাওয়া যায়। সে সব মোজা পরলে শরীর খারাপ হতে পারে।
৩) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে তবেই মোজা পরে বিছানায় যাবেন। পায়ের ত্বকে যদি এগজ়িমা জাতীয় কোনও সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রেও মোজা পরে ঘুমোনো উচিত হবে না।