ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে মিষ্টিযুক্ত পানীয় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত
সূর্যের চোখ রাঙানিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কালবৈশাখীর জেড়ে বিকেলের দিকে সামান্য স্বস্তি মিললেও দুপুরে রাস্তায় বেরোনো মানেই ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরমর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। জলের ঘাটতি মেটানোর পাশাপশি শরীরকে ঠান্ডা রাখাও ভীষণ দরকার। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন বিভিন্ন প্রকার পানীয়তে।
তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে মিষ্টিযুক্ত পানীয় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। বাজারজাত সস্তা-দামি পানীয়তে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ভরপুর মাত্রায় চিনি থাকে। যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে কোন কোন পানীয় খাওয়া যাতে পারে?
১। ডাবের জল: ডাবের জলে ইলেকট্রোলাইটের খুব ভাল উৎস। গরমের দিনে নিয়মিত ডাবের জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। পেট ঠান্ডা থাকে। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়াও এই জলে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। তাই গ্রীষ্মের দিনে ডায়াবেটিক রোগীরা ডাবের জল খেতে পারেন। শরীর চাঙ্গা থাকবে।
প্রতীকী ছবি
২। বার্লি ভেজানো জল: বার্লিতে অদ্রবণীয় ফাইবার ভাল মাত্রায় থাকে। গরমের দিনে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে বার্লি ভেজানো জল খেতে পারেন। এই জল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩। লেবু-আদার শরবত: আদা ডায়াবিটিস রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারী। টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। ডায়াবিটিসের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। আদা খেলে সেই সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। তাই গরমের দিনে লেবু-আদার শরবত খেতেই পারেন। তবে চিনি ছাড়া।