— প্রতীকী চিত্র।
কাজে বেরোনোর সময় সারা দিন ভাল করে খাওয়া হয় না। তাই সকালে ভাল পদ যা রান্না হয়, সবটাই মায়েরা যত্ন করে রেখে দেন ছেলেমেয়ের জন্য। কিন্তু মুশকিল হল, অফিস থেকে ফিরেও তো অনেক সময়ে আবার ল্যাপটপ খুলে বসতে হয়। তাই খাওয়ার সময়ের ঠিক থাকে না। রাতে তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে গ্যাস-অম্বল অবধারিত। তাই পুষ্টিবিদেরা বলে থাকেন, রাতের খাবার যতটা সম্ভব হালকা রাখতে। শুধু তা-ই নয়, রাতের খাবার যদি সন্ধে সাতটার আগে খেয়ে ফেলা যায়, তা হলে সব দিক থেকেই ভাল। অনেকেই রাতের খাবার খাওয়ার পর সোজা বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দেন। এতে খাবার হজমে সমস্যা হয়। ওজনেও প্রভাব পড়ে। তবে সন্ধে ৭টার সময় রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত উপোস করে থাকা কিন্তু আবার শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই নিজের সুবিধা বুঝে সময় আগুপিছু করে নেওয়া যায়।
রাতে তাড়াতাড়ি খাবার খেলে কী কী উপকার মিলতে পারে?
১) রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে
তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া শেষ হলে হজম হয় তাড়াতাড়ি। খাবার থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার কাজটিও সহজ হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) ঘুমের চক্র
রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে অনেক সময় হজমের সমস্যা হয়। সেখান থেকে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা স্বাভাবিক। তাই ঘুমোতে যাওয়ার অন্ততপক্ষে দু-তিন ঘণ্টা আগে নৈশভোজের পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৩) হরমোন
শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। হরমোন এমন একটি উপাদান, শরীর থেকে যার অতিরিক্ত ক্ষরণ হলেও ক্ষতি। আবার কম ক্ষরণ হওয়াও ভাল নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাতের খাবার খাওয়া এবং হজম হওয়ার উপর হরমোনের কার্যকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে। তাই রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়াই ভাল।