পিসিওএসের সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
মহিলাদের মধ্যে যে সমস্যাগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ তার মধ্যে অন্যতম। পিসিওএসের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন, এমন রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ— পিসিওএসের সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। অভিনেত্রীরা অনেক সময় নিজেদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে অকপট হয়েছেন। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ডিম্বাশয়ের চারপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। পিসিওএসের কারণে ওজন বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে চুল উঠে যাওয়া ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই পিসিওএসের সমস্যা নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি। পিসিওএসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে পিসিওএসের সমস্যা হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব।
চিয়া বীজ
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ এই বীজ পিসিওএসের অন্যতম ওষুধ হিসাবে পরিচিত। চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ডিম্বাণুর পরিমাণও বাড়ে। চিয়াতে রয়েছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, যা পিসিওএসের সমস্যা কমাতে উপকারী।
নারকেল
পিসিওএস কমাতে ভরসা রাখতে পারেন নারকেলের উপর। এই ফলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীর চনমনে রাখতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে নারকেল।
নারকেলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। ছবি: সংগৃহীত।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজ যে উপকারী, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু পিসিওএসের সমস্যা কমাতে যে এর ভূমিকা রয়েছে, সে ব্যাপারে অবগত খুব কম মানুষই। এই বীজে রয়েছে বিটা-সিটোস্টেরল, যা পিসিওস নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে চুল ঝরার পরিমাণও কমায়। তাই পিসিওএস যদি থেকে থাকে, তা হলে কুমড়োর বীজ খেতে পারেন, উপকার পাবেন।