কোলেস্টেরল বশে রাখার দাওয়াই! ছবি: সংগৃহীত।
একটু জোরে হাঁটলেই হাঁপ ধরে। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে তো কথাই নেই। উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা তো বটেই, রক্তে বাড়তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের কারণেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার, মিষ্টি পদ বা চিনি দেওয়া পানীয় খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে চটচটে চর্বিজাতীয় পদার্থ বাড়তে থাকে। তারই একটি অংশ জমতে থাকে ধমনীর দেওয়ালে। ধমনীর পথ সরু হতে শুরু করে। রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। প্রথম থেকে সতর্ক না হলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। রক্ত পাতলা করার ওষুধ, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি নিয়মিত তিন ভেষজ খেলে রক্তে বাড়তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখা যেতে পারে।
খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন তিন ভেষজ খাবেন?
১) রসুন
সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে থাকেন অনেকেই। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল রাখতে এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। বাতের ব্যথা নিরাময়ে আয়ুর্বেদে রসুনের তেলও বেশ কার্যকরী। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, রসুনের মধ্যে রয়েছে এমন একটি উপাদান, যা ধমনীতে ‘প্লাক্’ বা চর্বি জমতে দেয় না। রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতেও রসুনের ভূমিকা রয়েছে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হলুদ আয়ুর্বেদে মহৌষধ। ছবি: সংগৃহীত।
২) হলুদ
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হলুদ আয়ুর্বেদে মহৌষধ। জ্বর, সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহার করা হয় বহুকাল থেকেই। তবে, হলুদ ধমনীর প্রদাহ নিরাময়েও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিমিত পরিমাণে হলুদ খেলে ধমনীতে জমে থাকা চর্বির পরত ধীরে ধীরে গলতে থাকে।
৩) আদা
রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল ধমনীর দেওয়ালে জমতে শুরু করলে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। আদা কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। হার্টের সামগ্রিক উন্নতি সাধনে এই ভেষজের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।