ওট্স দিয়েই বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর মিঠাই। ছবি: শাটারস্টক।
বানানোর পদ্ধতি সহজ এবং পুষ্টিকরও বটে। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য ওট্স একটি অত্যন্ত পছন্দের খাবার। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওট্সে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম। এ ছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওট্সের কোনও তুলনা নেই। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে। তবে রোজ রোজ দুধ-ওট্স কিংবা দই-ওট্স খেতে একঘেয়ে লাগে। ওজন ঝরানোর ডায়েট করলেও অনেক সময় খিদের পেটে মিষ্টিমুখ করতে মন চায়। ওট্স দিয়েই বানানো যায় ভিন্ন স্বাদের মিষ্টির কিছু পদ! রইল তার হদিস।
ওট্স-ম্যাঙ্গো মাফিন। ছবি: শাটারস্টক।
ওট্স-ম্যাঙ্গো মাফিন: কেক, মাফিন অনেকেরই পছন্দের খাবার। বিশেষ করে শিশুদের। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে স্কুলের টিফিনে সন্তানকে কেক বা মাফিন বানিয়ে দেন। এই গরমে অন্য স্বাদের মাফিন খেতে চাইলে ওটস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। টুকরো করে কাটা আম, আদা কুচি এবং আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা ওট্স, খেজুর, ক্রিম এবং নারকেল কোরা দিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে থকথকে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মাফিন তৈরির উপযোগী সিলিকনের পাত্রে ভরে মাইক্রোঅভেনে মিনিট পাঁচেক রাখলেই তৈরি ওট্সের ম্যাঙ্গো মাফিন।
ওট্স কুকিজ। ছবি: শাটারস্টক।
ওট্সের কুকিজ়: কুকিজ় খেতে কম-বেশি সকলেই ভালবাসেন। চায়ের সঙ্গে নানা স্বাদের কুকিজ় খেতেও মন্দ লাগে না। চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের কুকিজ়। মিক্সারে ১১০ গ্রাম মাখন, আধ কাপ ব্রাউন সুগার, ১টি কলা, ১/৪ কাপ ময়দা, ১ চা চামচ দারচিনি, ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং দেড় কাপ ওট্স মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি থেকে কুকিজ়ের আকারে গড়ে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ৮-১০ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি ওট্সের কুকিজ়।
ওট্স ফাজ। ছবি: শাটারস্টক।
ওট্স ফাজ: আধ কাপ ওট্স এবং এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ একটি কাচের জারে ভরে নিন। এক-আধ কাপ দুধ মিশ্রণে দিয়ে দিন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার ও এক টেবিল চামচ মেপল সিরাপ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাচের বয়ামে ঢাকনা লাগিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। সকালে পছন্দের ফল ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে সেরে ফেলুন প্রাতরাশ।