কোন অভ্যাসে বাড়ছে হৃদ্রোগ? ছবি: সংগৃহীত।
হার্ট অ্যাটাক এখন আর বয়স দেখে হয় না। কম বসয়িদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। জিনগত কারণে বা জন্মগত ভাবে হার্টের রোগ থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু তেমন কোনও কারণ ছাড়াই অতর্কিতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা নেহাত কম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের মতো প্রাথমিক বিষয়গুলিকেই হার্টের রোগের কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষ নিজের অজান্তেই এমন কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, যা একটু একটু করে হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ করে।
১) লিভারের যত্ন না নেওয়া
কথায় বলে পেট ভাল থাকলে সব ভাল থাকে। তবে হার্ট ভাল রাখতে গেলে লিভারের কার্য ক্ষমতা ভাল হওয়া প্রয়োজন। কারণ, হার্ট ভাল রাখতে যে উৎসেচকগুলি লিভার থেকে নিসৃত হয়, লিভারে মেদ জমলে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
২) শরীরচর্চা না করা
যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। স্থূলত্ব যে কত রকম রোগকে আহ্বান করে, তা গুণে বলা যাবে না। তবে শরীরচর্চা মানেই যে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো, এমনটা নয়। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি দিন অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা হাঁটলেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া যায়।
অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত।
৩) অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস
খাওয়ার পাতে আলাদা করে নুন না নিলে খাবারে স্বাদই আসে না। এই অভ্যাসই কিন্তু বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি সারা দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ৫ গ্রাম নুন খেতে পারেন। এ ছা়ড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবারও বুঝে খেতে হবে। না হলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।