স্থূলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতেই পারে। ছবি- সংগৃহীত
সারা দিন অফিসে বসে বসে কাজ। বেশির ভাগ দিন বাইরের মশলাদার খাওয়াদাওয়া। তার উপর দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় অনিয়ম হয়েই চলেছে। আর এই অনিয়মের ফলে বেড়েই চলেছে শরীরের স্থূলতা। চিকিৎসকদের মতে, স্থূলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতেই পারে। বিশেষ করে পেটের মেদ বাড়লে, নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ঘরে-বাইরে কাজের চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও উপায় নেই। তা হলে কী করবেন? উপায় আছে। জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। আয়ুর্বেদে রয়েছে এই সমস্যার সমাধান। তিন রকম পানীয়েই জব্দ হবে মেদ।
১) ত্রিফলা চূর্ণ
আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে তাদের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। এই তিন ফল পৃথক ভাবেও আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারী। মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ। বিপাকহার বাড়াতে এই মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। গরমে হজমের সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভোগেন। বদহজম দূর করতেও নিয়মিত ত্রিফলা খেতে পারেন।
সকালবেলা খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। ছবি- সংগৃহীত
২) লেবুর রস
সকাল বেলা খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। আয়ুর্বেদ মতে, এই পানীয়টি বিপাকহার বাড়িয়ে হজমে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, খাবারে থাকা ফ্যাটজাতীয় উপাদান ভাঙতেও সহায়তা করে এই পানীয়।
৩) আদা চা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা চটজলদি ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম। তা ছাড়া, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিক রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।