অনেকেই আছেন যাঁরা খুব শীতকাতুরে, শীতকাল মোটেই পছন্দ নয় তাঁদের। ছবি: শাটারস্টক
শীতের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। বাতাসে হিমেল হাওয়া। ভোররাতে হালকা শিরশিরানি। অনেকেই আছেন যাঁরা খুব শীতকাতুরে। শীতকাল মোটেই পছন্দ নয় তাঁদের। পারলে বেশির ভাগ সময়টাই কাটে কম্বলের তলায়! ঠান্ডাকে জব্দ করতে এই সময় পাতে রাখতে হবে এমন কিছু খাবার, যা খেলে শরীর গরমও থাকবে আর শীতকালে শরীরও থাকবে ঝরঝরে।
১) ঘি
ওজন বাড়ার ভয়ে ঘি খান না? তবে শীতের ডায়েটে পরিমিত মাত্রায় ঘি রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। এই ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায়, ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর। শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে ঘি।
২) গুড়
শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের মরসুম। গুড় খেলে কেবল হজমশক্তি ভাল হয় এমনটা নয়, শীতের রাতে শরীর উষ্ণ করতেও এর জবাব নেই। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে বলে গুড় খেতে ভয় পান? ছবি: শাটারস্টক।
৩) কেশর
শীতে শরীর গরম রাখার মোক্ষম দাওয়াই হল কেশর। গরম দুধে কেশরের সঙ্গে কিশমিশ মিশিয়ে খেলে শরীর গরম হয়।
৪) দারচিনি
দারচিনি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। তাই শীতের মরসুমে ডায়েটে বেশি করে দারচিনি রাখতে পারেন। গরম দুধে হোক বা খাবারে, কিংবা কেক-কুকিজ়ে দারচিনি পড়লে স্বাদও বাড়বে আর শরীরও গরম থাকবে।
৫) তিল
শীতের মরসুমে তিলের লাড্ডু, বরফির চাহিদা বাড়ে। তিল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে ডায়েটে রাখতেই পারেন এই খাবার। মিষ্টি হিসাবে খেতে না চাইলেও স্যালাডে বা রান্নায় খেতে পারেন তিল।