বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাপাতায় খেলে নানা রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা কমে। ছবি: শাটারস্টক।
কলাপাতায় পাত পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা! আগেকার দিনে যে কোনও অনুষ্ঠানে কলাপাতায় খাওয়ার একটি চল ছিল। ইদানীং সব অনুষ্ঠান বাড়িতে না হলেও বেশ কিছু বনেদি বাড়িতে পুজোর ভোগ নিবেদন করা হয় কলাপাতায়। কলকাতার বিভিন্ন পাইস হোটেলে এই চল কিন্তু এখনও রয়েছে। বেশ কিছু বাঙালি থিমের রেস্তরাঁতেও কাঁসার থালার উপর কলাপাতা রেখে তবেই খাবার পরিবেশন করা হয়। শুধু এখানেই নয়, দক্ষিণ ভারতে কলাপাতায় খাওয়াই ঐতিহ্য। কলাপাতার উপর একটি মোমের মতো আস্তরণ থাকে, যার উপর গরমাগরম খাবার পড়লে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ।
তবে জানেন কি এই কলাপাতায় খাওয়ার একাধিক উপকারিতা আছে? প্রতিদিন কলাপাতায় খেলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাপাতায় খেলে নানা রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা কমে।
কলাপাতার গুণাগুণ
১) কলাপাতায় রয়েছে পলিফেলন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা খাবার সময়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এটি শরীরে ক্যানসারের কোষবৃদ্ধিও রুখে দেয়। তাই কলাপাতায় খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
২) কলাপাতায় আছে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধকারী কিছু উপাদান। আবহাওয়া বদলের সময়ে আচমকা ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি হওয়ার ঝুঁকি লেগেই থাকে। কলাপাতার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান গলাব্যথা, সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে।
কলাপাতা যে হেতু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর তাই কলাপাতায় খেলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) কলাপাতা অ্যালোয়েনটাইন নামক উপাদানে ভরপুর। এই উপাদান পেটের যে কোনও সমস্যা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও যাঁদের পেটের ক্রনিক সমস্যা থাকে, তাঁরাও নিয়মিত কলাপাতায় খাওয়া শুরু করতে পারেন, উপকার পাবেন। কারণ হজমশক্তি বাড়াতেও কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস ভাল।
৪) কলাপাতা যে হেতু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর তাই কলাপাতায় খেলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সেই সঙ্গে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও সতেজ। বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।
৫) যে কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলাপাতায় থাকে এমন কিছু উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। যার ফলে রোগের প্রকোপ থেকে মুক্তি যেমন পাওয়া যায় তেমনই শরীরও সুস্থ থাকে।