কোন খাবারে বাড়ছে গ্যাস, পেটফাঁপার সমস্যা? ছবি- সংগৃহীত
গরমকালে বাজারে যেন সব্জির আকাল। সেই এক পটল, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়শ, কুমড়ো খেতে খেতে যেন মুখটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই একটু স্বাদ বদলাতে এক দিন একটু বাঁধাকপি খেয়েছেন। ব্যস! পেটে গ্যাস, পেট ফুলে ঢোল। কিছু খাওয়া তো দূর। রাতে কিছু খাওয়ার ইচ্ছাটুকুই চলে গিয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, তীব্র গরমে এমনিতেই হজমের সমস্যা হয়। তার উপর বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে পেটে গ্যাস বা পেটফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই সেই খাবারগুলি এই সময়ে না খাওয়াই ভাল। সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
১) বিন্স
এই জাতীয় খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি। এ ছাড়া বিনসের মধ্যে ‘ওলিগোস্যাকারাইড’ নামক শর্করা রয়েছে, গরমে এই জাতীয় শর্করা ভাঙতে সমস্যা হয়। ফলে পেট ভার লাগে।
২) নরম পানীয়
গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বোতলজাত পানীয়ে চুমুক দেন। বোতলজাত পানীয় কিন্তু পেটে গ্যাস হওয়ার মূল কারণ।
৩) বাঁধাকপি
গরমকালে কখনওই বাঁধাকপি, ফুলকপি বা ব্রকোলির মতো সব্জি খাওয়া চলবে না। এই সব সব্জিতে ‘র্যাফিনোজ়’ নামক একটি শর্করা থাকে, যা পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে।
৪) পেঁয়াজ
গরমকালে শরীর ঠান্ডা থাকে বলে অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন। কিন্তু পেঁয়াজ, রসুনে থাকা ‘ফ্রুক্ট্যান্স’ পেটফাঁপার মতো সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
৫) কাঁচা সব্জি
গরমে যত বেশি ফাইবারজাতীয় খাবার খাবেন, পেটফাঁপার সমস্যা তত বৃদ্ধি পাবে। কাঁচা সব্জিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
বিন্সে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি। তাই গরমকালে হজমে সমস্যা হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
কোন টোটকায় দূর হবে পেটফাঁপার সমস্যা?
১) খাওয়ার সময় মোটেই তাড়াহুড়ো করা যাবে না। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
২) একেবারে অনেকটা খাবার না খেয়ে, সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৩) শরীর থেকে টক্সিন বার করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
৪) বোতলজাত ঠান্ডা, ক্যাফিনজাত পানীয় বা মদ্যপানে রাশ টানতে হবে।
৫) হজমের সমস্যা মেটাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।