ছবি : সংগৃহীত।
দৈনন্দিন খাবার থেকেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সংগ্রহ করার কথা শরীরের। নানা কারণে শরীর সেই কাজ না করতে পারলে, বাইরে থেকে বিকল্প ভিটামিন বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে এ দেশে ইদানীং শহুরে জনতার মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা যাচ্ছে। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি মেটাতেও বিকল্প ওষুধ খেতে হচ্ছে অনেককে। কিন্তু সেই সব বিকল্প ভিটামিন খাওয়ার পরও কি শরীর সুফল পাচ্ছে? চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা শেরাওয়াত বলছেন, ‘‘বিকল্প ভিটামিন শুধু খেলেই হল না, কখন কী ভাবে ওই ভিটামিন খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেও নির্ভর করবে তা শরীরের কতটা উপকারে লাগছে।’’
কখন খেতে হবে ভিটামিন বি১২?
ভিটামিন খাওয়ার আগে জানতে হবে সেই ভিটামিন শরীর কী ভাবে গ্রহণ করতে পারে। চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা বলছেন, ‘‘কিছু ভিটামিন জলে দ্রবীভূত হয়। কিছু ভিটামিন রক্তে মিশতে দরকার পড়ে স্নেহ পদার্থের। ভিটামিন বি১২ যেমন জলে দ্রবীভূত হয়। জলে দ্রবীভূত হয় ভিটামিন সি-ও।’’ তাই চিকিৎসকের পরামর্শ, জলে দ্রাব্য ভিটামিন, অর্থাৎ ভিটামিন সি বা ভিটামিন বি১২ খেলে প্রচুর জল খেতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত।
ভিটামিন বি১২ খাওয়ার আদর্শ সময় খালি পেটে। চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কার পরামর্শ, সকাল বেলায় কোনও খাবার খাওয়ার আগে খান ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট। তবে যদি খালি পেটে খেতে না পারেন, তবে প্রাতরাশ খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পরে খাবেন। তত ক্ষণে পেট কিছুটা খালি হয়ে যাবে। জলের মাধ্যমে সহজে শরীরের সর্বত্র পৌঁছবে ভিটামিন।
কখন খাবেন ভিটামিন-ডি?
ভিটামিন ডি হল স্নেহপদার্থ দ্রাব্য ভিটামিন। ভিটামিন এ, ই, কে-র মতো ভিটামিন ডি-র জন্যও জরুরি ফ্যাট জাতীয় খাবার। চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা বলছেন, ‘‘স্নেহ পদার্থ দ্রাব্য ভিটামিন খেলে তা খেতে হবে খাবার খাওয়ার পরে। অর্থাৎ যদি ভিটামিন ডি খেতে হয়, তবে তা খেতে হবে খাওয়াদাওয়ার পরে।’’
ছবি: সংগৃহীত।
ভিটামিন ডি-র ওষুধ সাধারণত সকালেই খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। প্রিয়ঙ্কা বলছেন, অনেকে ভিটামিন ডি-র গুঁড়ো খান। কারণ ক্যাপস্যুলের থেকে সেটি দামে সস্তা। তাই যদি ভিটামিন ডি পাউডার খান তবে দুধের সঙ্গে খেতে পারেন। দুধের ফ্যাটে ভিটামিন ডি সহজে দ্রবীভূত হয়। তবে যিনি খাচ্ছেন, তাঁর হজমের সমস্যা থাকলে ওই পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলছেন, হজমের সমস্যা থাকলে ভিটামিন ডি-র ট্যাবলেটই ভাল। সে ক্ষেত্রে যদি বিকল্প ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খান, তবে সেটি সকালের খাবার খাওয়ার পরেই।’’