কোন ব্যায়ামে লুকিয়ে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখার মন্ত্র? ছবি: শাটারস্টক।
বাড়ি ফিরে কিংবা অফিস পৌঁছেই যদি দেখেন, লিফ্ট খারাপ, তা হলেই মাথায় হাত! সিঁড়ি ভেঙে দু’তলা বা তিন তলায় উঠতে গেলেই যেন আলস্য আসে, খানিকটা বিরক্তিও লাগে। লিফ্ট কাজ করলে কোনও মতেই সিঁড়ি ব্যবহার করার কথা মাথায় আসে না। তবে হৃদ্যন্ত্রের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে এক হাজার পা হাঁটার চেয়ে ৫০টি সিঁড়ি ভাঙা অনেক বেশি কার্যকরী। তেমনটাই জানাচ্ছে নয়া গবেষণা।
‘ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়া অ্যান্ড নরফোক’ এবং ব্রিটেনের ‘নরউইচ ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর একদল গবেষক এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তাঁদের দাবি, সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজ়িজ় যেমন, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গবেষকেরা বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা বা ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। তবে, তার চেয়েও বেশি উপকারী হল সিঁড়ি ভাঙা। প্রতি দিন সিঁড়ি ভাঙলে স্ট্রোক, করোনারি আর্টারি ডিজ়িজ়ের মতো সমস্যা অন্যদের তুলনায় ২৪ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
হৃদ্যন্ত্রের যাবতীয় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে এক হাজার পা হাঁটার চেয়ে ৫০টি সিঁড়ি ভাঙা অনেক বেশি কার্যকরী।
এই গবেষণায় মোট ৪,৮০,৪৭৯ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন একেবারে সুস্থ, আবার আগে হার্ট অ্যাটাক কিংবা ‘পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল’ রোগের পূর্ব ইতিহাস আছে, এমনও লোকেরাও গবেষণায় অংশ নেন। প্রত্যেকের বয়স ছিল ৩৫ বছর থেকে ৮৪ বছরের মধ্যে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই ছিলেন মহিলা। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফল এই রকম—
ক’টা সিঁড়ি নিয়মিত ওঠানামা করলে সুফল পাবেন?
ঠিক ক’টা সিড়ি ওঠানামা করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে, সেই বিষয় কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি এই গবেষণায়। তবে এর আগে এ নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে। ২০২৩ সালের একটি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে মোট ৫০ থেকে ৬০টি ধাপ ওঠানামা করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
তবে এখানে একটি কথা বলে নেওয়া ভাল, যাঁরা হাঁটুজনিত কোনও সমস্যায় ভুগছেন বা বাতের রোগে আক্রান্ত বা হার্টের রোগী, এই চর্চায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।