মানসিক চাপের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোজ রাতেই সঙ্গীকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন? কী মনে হচ্ছে? খুব ক্লান্ত লাগছে? অথবা পুরনো রসায়ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে আতঙ্কিত হচ্ছেন?
এ কিন্তু একেবারে অন্য একটি সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।
মানসিক চাপের জন্য শরীর খারাপ হওয়ার কথা অনেকই জানেন। কিন্তু তা কেন হয়? তার প্রভাব কী ভাবে পড়ে শরীরের উপরে? সে কথা সব সময়ে ভাবা হয় না। রোজের জীবনে নানা ভাবে প্রভাব ফেলে মানসিক চাপ। তার মধ্যে যৌন চাহিদা কমে যাওয়াও রয়েছে।
অতি ব্যস্ত এই শহুরে জীবনে মানসিক চাপের মতো সমস্যার শিকার অনেকেই। বেশি কাজ বা সংসারের নানা চিন্তা একসঙ্গে এসে পড়লেই মনে হয় মানসিক চাপ বাড়ছে। কিন্তু সে সব ভাবার আগে বুঝতে হবে মানসিক চাপ কী এবং তার উপসর্গই বা কেমন।
মানসিক চাপ যে কোনও কাজেই থাকে। পরীক্ষা থাক বা নতুন কাজে যোগ দেওয়ার কথা হোক— চাপ সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে। এ এক স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত চাপ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একটি মাত্রার পর সে চাপ আর কমতে চায় না। শরীরের উপরেও প্রভাব পড়ে তখন। শরীর নানা ভাবে তা জানানও দিতে থাকে। সেই সঙ্কেতগুলি চেনা থাকলে জীবন কিছুটা হলেও সহজ হতে পারে। শরীর যখন জানান দেবে যে মানসিক চাপ অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন কিছুটা সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যায়। তা হলে সমস্যা বড় আকার নেওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
মানসিক চাপের উপসর্গ কী?
এক এক জনের ক্ষেত্রে সেই চাপ এক এক ধরনের সমস্যা তৈরি করে। তবে কয়েকটি লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
প্রতীকী ছবি।
১) মাথাব্যথা হয় অনেকের। কারও ক্ষেত্রে ব্যথার থেকেও বেশি মাথা ঘোরা কিংবা ঝিমঝিম করার প্রবণতা দেখা দেয়।
২) নিয়মিত গা-হাত-পা ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রে।
৩) কারও আবার রক্তচাপ বেড়ে যায়।
৪) যৌনমিলনের ইচ্ছা কমে যায়। শরীর সাড়া দেয় না সঙ্গীর আলিঙ্গনেও।
৫) কারও বা দিনের পর দিন চলে হজমের গোলমাল। খাওয়ার ইচ্ছাও অনেক সময়ে কমে যায়।
এর মধ্যে কোনও একটি সমস্যা দেখা দিলেই কি বুঝতে হবে যে মানসিক চাপ বেড়েছে? তেমন কিন্তু নয়। আগেই সমস্যার কথা ভেবে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। তবে কোনও একটি সমস্যা টানা চলতে থাকলে একটু সচেতন হওয়া জরুরি। যদি এমন কোনও উপসর্গ দেখে মনে হয় যে তা মানসিক চাপের কারণেই ঘটছে, তবে যেতে হবে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে তবেই বোঝা সম্ভব অসুবিধার কারণ। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই নিতে হবে ব্যবস্থা।