কোন রোগের ঝুঁকি কমে পটল খেলে? ছবি: সংগৃহীত।
চিংড়ির পুর ভরা হোক কিংবা দই দিয়ে রসা— বাঙালি বাড়িতে মাঝে মাঝেই পটলের রকমারি পদ রান্না হয় ঠিকই। তবে জনপ্রিয়তায় বাকি সব্জির চেয়ে অনেকটাই পিছনে পটল। স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ সব্জির কথা ভাবতে বসলে পটলের নাম সহজে মাথায় আসে না। পটল নিয়ে যতই রঙ্গরসিকতা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য হোক, গবেষণা কিন্তু অন্য কথা বলছে।
পটলের মতো স্বাস্থ্যগুণ অনেক সব্জিতেই নেই। ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ পটল অনেক শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায়। পটলের গুণ কতটা, জেনে নিন।
রোগের সঙ্গে লড়াই করতে
পটলে ভিটামিন সি আছে ভরপুর পরিমাণে। ভিটামিন-সি এক দিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, অন্য দিকে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। বিশেষত মরসুম বদলের সময়ে হওয়া সর্দি-জ্বর প্রতিরোধ করতে কাজে আসতে পারে পটল। লিভারের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্যও পটল বেশ উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
পটলে যে ফাইবার পাওয়া যায়, তা পাচিত হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। আবার ১০০ গ্রাম পটলে থাকে মাত্র ২০ ক্যালোরি। ফলত যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন ও বুঝতে পারছেন না কোন খাবার খাওয়া উচিত, তাঁদের জন্য পটল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমাতে
পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে ও ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে। কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি। কোলেস্টেরলের রোগীরা নিয়মিত পটল খেতে পারেন। সুস্থ থাকা সহজ হবে।
পটল ও পটলের বীজ ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে
পটল ও পটলের বীজ ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে। থাকে কপার, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী।