বেগুন খেলে সত্যি মেদ ঝরবে? ছবি: খাদ্যরসিক।
শীত চলে যেতেই পর্ণা আবার পুরনো রুটিনে ফিরতে শুরু করেছেন। মানে ওজন ঝরানোর যে প্রক্রিয়াটি শীতের ভাল ভাল খাবারের লোভে মাঝপথে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল, সেটিই আবার চাগাড় দিয়ে উঠেছে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে এক তিনি শুধু তরল পানীয় খেয়ে থাকেন, তো অন্য দিন শুধুই প্রোটিন। কিন্তু সে সব ছেড়ে পর্ণা এখন সারা দিন ধরে হঠাৎ বেগুনের নানা ধরনের পদ খেতে শুরু করেছেন। তাতে কি বাড়তি কোনও সুবিধা মেলে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বেগুনে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ‘ইরানিয়ান জার্নাল অফ বেসিক মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার বাতিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? বেশ খানিকটা বেগুন খেয়ে নিন, কাজ হবে। পেট ভর্তি রাখার পাশাপাশি, কোষ্ঠ সাফ করতেও সাহায্য করে সব্জিটি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বেগুনে ক্যালোরির পরিমাণ ২০। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৫ গ্রাম। ফাইবার রয়েছে ৩ গ্রামের মতো। ১ গ্রাম প্রোটিনও রয়েছে। এ ছাড়া ম্যাঙ্গানিজ়, ফোলেট, পটাশিয়াম, ভিটামিন কে এবং সি-ও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
এ ছাড়া বেগুনে আর কী কী আছে?
১) বেগুনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি শরীরে যে কোনও প্রকারের ক্ষয়ক্ষতি রুখে দিতে পারে। ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হার্টের রোগ, ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
২) ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বেগুন। সুতরাং, এই সব্জিটি খেলে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমতে পারে।
৩) যে হেতু বেগুনে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তাই রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সব্জিটি। রক্তে ভাসমান শর্করা পরিপাকের গতি শ্লথ করে দিতে পারে ফাইবার। ফলে খাওয়ার পরে আচমকা রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।