ওজন ঝরাতে কী ভাবে কাজে লাগাবেন এলাচ? ছবি: শাটারস্টক।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন? নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি কয়েকটি টোটকাও কিন্তু মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। বিরিয়ানি হোক কিংবা পায়েস, এলাচ দিলেই রান্নার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে এই এলাচের গুণেই আপনার ওজন কমতে পারে, সে খবর রাখেন কি?
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোট এলাচকে ‘সুপার ফুড’ বলা যেতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, এলাচ খেলে খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে বটে। তবে এই খাবার শরীরে শক্তির উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে, ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে। এলাচ মেলাটোনিনের একটি ভাল উৎস, যা বিপাক হার বাড়ায়, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে। তাই এলাচ খেলেই কমতে পারে আপনার ওজন। এই কারণেই মুখশুদ্ধি হিসাবেও এলাচের প্রচলন রয়েছে। শুকনো এলাচ নয়, ছোট এলাচ জলে ফুটিয়ে খেলে ফল মিলবে দ্রুত।
কী ভাবে বানাবেন এলাচ-জল?
এলাচ মেলাটোনিনের একটি ভাল উৎস, যা বিপাক হার বাড়ায়, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। ছবি: শাটারস্টক।
দু’গ্লাস জল সাত-আটটি এলাচ দানা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন।। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেই জল ছেঁকে নিয়ে পান করুন নিয়মিত। এলাচগুলিও রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। তাতে অসুবিধা নেই।
এলাচের আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে?
১) নিয়মিত এলাচ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাঁরা রোজ এলাচ খেতে পারেন।
২) রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও কিছুটা কমাতে পারে এলাচ। রক্ত সঞ্চালনের গতিও বাড়িয়ে দেয় হেঁশেলের এই উপাদানটি।
৩) যাঁদের ত্বকে তুলনায় তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে, তাঁরা এই জল খেতে পারেন। এতে ত্বক টানটান হয়, বলিরেখা কমে।
৪) দাঁতের গোড়ার নানা ধরনের সংক্রমণও কমে এই জল খেলে।