Summer oral health tips

গরমে বাড়তে পারে দাঁতের সমস্যা, কী কী হয়, সমাধান কিসে?

গরমকালে বিভিন্ন কারণে দাঁত এবং মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। অথচ বিষয়টিকে আমরা এড়িয়ে চলি। সহজ কিছু নিয়ম মানলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৫
Share:
Summers impact on dental health is underrated oral care tips to stay healthy

— প্রতীকী চিত্র।

দাবদাহ বাড়ছে। বছরের এই সময়ে সকলেই একটু স্বস্তি চান। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, গরমের সময়ে আমাদের দাঁত এবং মাড়ির নানা দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

গরমের সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। ডিহাইড্রেশনের কারণে অনেক সময়েই মুখের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যায়। এর ফলে মুখের মধ্যে লালা কম তৈরি হয়। দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাবারের অংশ পরিষ্কার করতে লালার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই তেষ্টা পাওয়ার আগেই নিয়মিত জল খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। হাতের কাছে জল না থাকলে সুগার ফ্রি চিউইং গাম খাওয়া যেতে পারে। গরমকালে বেশি মাত্রায় মদ্যপান করা উচিত নয়। অত্যধিক মদ্যপান থেকে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। পরিবর্তে বেশি করে জল, ডাবের জল বা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।

গরমকালে আরামের জন্য মিষ্টি এবং কার্বোনেটেড পানীয় বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু এই ধরনের পানীয় বেশি মাত্রায় পান করলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। একান্তই এই ধরনের কিছু পান করতে হলে, স্ট্র ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দাঁত এবং মাড়ি কম পানীয়ের সংস্পর্শে আসবে।

Advertisement

গরমের দিনে পরিশ্রমের পর কোনও পানীয়ের সঙ্গে বরফ খাওয়া বেশি হয়। মনের ভুলে বরফ চিবিয়ে ফেললে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দাঁতে ফাটলও ধরতে পারে। সে ক্ষেত্রে বরফের পরিবর্তে ঠান্ডা জল পান করা যেতে পারে।

ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে। যে সব খাবারে ক্যালশিয়াম (দুগ্ধজাত খাবার, পালং শাক) এবং ভিটামিন ডি (মাছ, ডিম) বেশি থাকে, গরমের সময়ে তা খাওয়া উচিত।

এ ছাড়াও গরমকালে মুখের ভিতরের অংশের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দিনে দু’বার দাঁত মাজা উচিত। প্রাতরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজনের পর সম্ভব হলে মাউথওয়াশ দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে নেওয়া যেতে পারে। রাতে দাঁত মাজার সময়ে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁত ভাল থাকবে। দাঁতের সমস্যা গুরুতর হলে দ্রুত কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement