কী ভাবে করবেন পাশাসন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
সারা দিন ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে কাজ। দ্রুত কাজ শেষ করার চাপে মাথা তোলার ফুরসত থাকে না। একটানা কাজ করলে ঘাড়-কাঁধে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। দিনের শুরুতে ব্যথার তীব্রতা তেমন বোঝা যায় না। কিন্তু বিকেল-সন্ধ্যার দিকে তা সহ্যের সীমা ছাড়াতে শুরু করে। কাঁধের পেশি এমন শক্ত হয়ে যায় যে, নাড়াচাড়া করার উপায় থাকে না। ব্যথা কমানোর মলম, স্প্রে ব্যবহারে সাময়িক আরাম হলেও লাভ খুব একটা হয় না। শেষে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অনেকেই হয়তো ফিজ়িয়োথেরাপির সাহায্য নেন। তবে যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা নিরাময়ে পাশাসন বিশেষ ভাবে উপকারী।
সংস্কৃত শব্দ ‘পাশ’ শব্দের অর্থ ‘গ্রন্থিবন্ধন’ বা ‘গিঁট’। আবার, ক্ষেত্রবিশেষে কোনও কিছু বেষ্টন করে থাকা বা জড়িয়ে থাকাকেও ‘পাশ’ বলা চলে। অর্থাৎ, এই আসন অভ্যাস করার সময়ে দেহের ভঙ্গি এমন হবে, যেন দেখে মনে হয় শরীরটা কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে বা পেঁচিয়ে রয়েছে। ইংরেজিতে এই পাশাসন ‘নুজ় পোজ়’, ‘রোপ পোজ়’ নামেও পরিচিত।
কী ভাবে করবেন?
কেন করবেন?
শুধু ঘাড়-কাঁধ -পিঠ নয়, এই আসন অভ্যাসে সারা শরীরের পেশিই সক্রিয় হয়। মেরুদণ্ড নমনীয় রাখতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এই পাশাসন। কোমর, ঊরু কিংবা হাঁটুর ব্যথায় আরাম মেলে। সায়াটিকার ব্যথায় কাজ দেয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তা-ও সেরে যায়। গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে পাশাসন।
সতর্কতা:
তবে যাঁদের মেরুদণ্ডে কোনও রকম চোট বা আঘাত রয়েছে, তাঁরা এই আসন অভ্যাস করবেন না। সদ্য পেটে অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলেও এই আসন অভ্যাস করতে যাবেন না। গোড়ালি, হাঁটু, কোমরে ব্যথা-বেদনা থাকলে আগে তা সারিয়ে নিন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন অভ্যাস করা নিষিদ্ধ।