সাধারণত, খাওয়াদাওয়ার পর এক চিমটে জোয়ান খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত
জোয়ান মাত্রই হজম সহায়ক, এ কথা কে না জানে! কিন্তু জোয়ান মানে যে শুধুই হজমজনিত সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার নয়, তা কি জানেন? বরং জোয়ানের আছে এমন অনেক গুণ, যা আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য অনেকাংশেই দায়ী।
সাধারণত, খাওয়াদাওয়ার পর এক চিমটে জোয়ান খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস। নিমন্ত্রণবাড়ি হোক বা নিজের বাড়িতেই ভারী খাওয়াদাওয়া— জোয়ানের শরণ নেন অনেকেই।
ভাজা জোয়ান বা মশলা জোয়ানের চাহিদা এতটাই যে বাস-ট্রামেও এই জিনিস বিক্রি করেন হকাররা। অনেকেই হজমের জন্য বাড়িতে তৈরিই রাখেন জোয়ানের মিশ্রণ। প্রস্তুত হয় সেই মিশ্রণ। কিন্তু হজমশক্তি বাড়ানো ছাড়া আর কী কী ভাবে জোয়ানের জল আপনাকে সাহায্য করতে পারে, জানেন?
পেটের সমস্যা
বহু দিন ধরে পেটের সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে জোয়ান। পেটেব্যথা, গ্যাস, বমি বমি ভাব, অম্বলের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে জোয়ান অনবদ্য। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ল্যাক্সাটাইভস থাকে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়। সকালে উঠে জোয়ান ভেজানো জল খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
রোগা হতে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জোয়ানের জল পান করা যেতে পারে। শরীরের বিপাকীয় হার বাড়িয়ে দেয় জোয়ান। এতেই শরীরের জমে থাকা ফ্যাট ঝরে যায়। ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর জোয়ানের জল। এ ক্ষেত্রে রাতে জলে জোয়ান মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে খালি পেটে পান করতে হবে এই জোয়ানের জল। জোয়ানে থাকা ফাইবার ওজন কমাতেও খুব সাহায্য করে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর করতে জোয়ান ভিজানো জল খাওয়া যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর করতে
ঋতুস্রাবের সময়ে কমবেশি সকলেই পেটে ব্যথার সম্মুখীন হন। এ ক্ষেত্রে দ্রুত সুস্থ হতে জোয়ান ভিজানো জল খাওয়া যেতে পারে। এতে পেটের ব্যথা কমে।
বাতের ব্যথা দূর করতে
এখন কমবেশি অনেকেই বাতের ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। ওষুধ খেয়েও সুফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া উপায় কাজে আসতে পারে। ব্যথা দূর করতে খাওয়া যেতে পারে জোয়ানের জল। বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতেও দারুণ কার্যকরী জোয়ান। আবার হাঁটু, কোমর বা গাঁটের ব্যথা চটজলদি মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন জোয়ানের তেলে। এই তেল দিয়ে মালিশ করলে উপকার মিলবে।