ওজন ঝরানোর চটজলদি প্রক্রিয়াগুলি আদৌ কতটা কার্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বছর শুরু হতেই জিমগুলিতে আবার ভিড় জমতে শুরু করে। বছরের শুরুতে অনেকেই প্রতিজ্ঞা করেন এ বছরে নায়ক-নায়িকাদের মতো ছিপছিপে শরীর চাই-ই চাই। অনেকে আবার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন। তবে শরীরের মেদ ঝরাতে গেলে সবার আগে জরুরি নিয়মানুবর্তিতা আর ধৈর্য। নেটমাধ্যম দেখে চটজলদি ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া মেনে চললে ফল পেলেও সেই ফল দীর্ঘস্থায়ী হয় না, উল্টে শরীরের ক্ষতি শুরু হয়। তাই ওজন ঝরাতে হবে নিয়ম মেনে, পুষ্টিবিদ ও ফিটনেসবিদের পরামর্শ মেনে। ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ায় কোন সাধারণ ভুলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে, রইল তার হদিস।
১) সকালের খাবার না খাওয়া সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। এতে ওজন তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যায়। উপোস করে থেকে ওজন কমানোর পরিকল্পনা একেবারেই ভুল। বরং সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন ঝরানো যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সকালের খাবার এড়িয়ে গেলে চলবে না।
২) ওজন কমানোর পর্বে প্রোবায়োটিক অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। শরীরে প্রোবায়োটিকের অভাব ঘটলে ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক সবচেয়ে বেশি থাকে। অথচ রোগা হবেন বলে অনেকেই এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলেন। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোবায়োটিক খেতেই হবে।
৩) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এমন হলে অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হোন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
৪) চটজলদি ওজন কমানোর জন্য অনেকেই কিটো ডায়েট করেন, অর্থাৎ কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বন্ধ করে দেন। তবে শরীরে শক্তির জোগান দিতে চাই কার্বোহাইড্রেট। পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
৫) ওজন কমানোর জন্য শুধু কড়া ডায়েট মানলেই চলবে না, জলও খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। নিয়ম মেনে ডায়েট করলেও জল খেতে ভুলে যান অনেকেই। জল কম খেলে হজম ভাল হয় না। রোগা হওয়ার জন্য হজম ঠিকঠাক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খাওয়ার অভ্যাস ওজন বাড়িয়ে দেয়।