আম খান তবে ভেবেচিন্তে। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে দিনে পারদ চড়ছে, সঙ্গে ঘাম-অস্বস্তি বাড়ছে। তবু মন ভাল এক দল বাঙালির। আমের আশায়, আমের নেশায়। বাজারে এখনও খুব ভাল আমের দেখা নেই, তবুও টক-মিষ্টি যা পাওয়া যাচ্ছে, তাই-ই ঢের আমপ্রেমীদের কাছে।
আমের মরসুমে যেন চারদিক আমময় হয়ে ওঠে। সকালে দুধ-আম-রুটি হোক কিংবা কিংবা দুপুরে খাওয়া শেষ করে গোটা আম কিংবা আমের তৈরি মিষ্টি— গরমে আমের স্বাদ পেলে আর যে কিছুই চাই না বাঙালির! প্রশ্ন এখানেই, রোজ আম খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ভাল?
আমে নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। কিন্তু তার মানেই কি যখন তখন আম খাওয়া যাবে? তা কিন্তু একেবারেই নয়। নিয়মিত আম খেতে শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১. যতই খাদ্যগুণে ভরপুর হোক আম, একটি অতিরিক্ত ক্ষতির আশঙ্কা কিন্তু লুকিয়ে আছে এই ফলে। আমে অ্যালার্জির আশঙ্কা প্রবল।
২. পাকা আমে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই নিয়মিত আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য কিন্তু আম খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
৩. বেশ কয়েকটি ধরনের আমে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। অধিকাংশ ফাইবার বেরিয়ে যায় আঁটি আর খোসায়। ফলে হজমের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয় সব ধরনের আম। যদি আম খেতেই হয়, তবে সঙ্গে ফাইবারে ভরপুর কিছু ফল খাওয়াও জরুরি।
বেশি আম খেলে আমাশার সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪. আমে অনেকটা শর্করা থাকে। এই ফল খেলে তাই অনেকটা ক্যালোরি যায় শরীরে। আম খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাই যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের জন্যও আম না খাওয়াই ভাল।
৫. অনেকেই আছেন যাঁরা দিনে তিনটে, চারটে করে আম খেয়ে ফেলেন। বেশি আম খেলে আবার আমাশার সমস্যা হতে পারে। বাজারে গেলেই এখন বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায়, তবে সেগুলি বেশির ভাগই গাছপাকা নয়, রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হয়। তাই আম কাটার আগে ঘণ্টা দুয়েক জলে ভিজিয়ে না রাখলে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।