টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এই বীজ। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছেন সব চিকিত্সকেরাই। আর তাই বেশি করে শাকসব্জি খেতে বলছেন তাঁরা। মিষ্টি কুমড়ো হয়েতো অনেকেই খান, তবে কেউ কেউ এই সব্জিটি একেবারেই পছন্দ করেন না। পুষ্টিবিদদের মতে, কুমড়ো ভিটামিন এ-এর একটি উচ্চ উৎস। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়। শুধু কুমড়োই নয়, এর বীজগুলিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উত্স হল কুমড়োর বীজ। তাই এটি ফেলে দেওয়ার আগে দু’বার চিন্তা করা উচিত। শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, রূপচর্চাতেও কুমড়োর বীজ অত্যন্ত কার্যকর!
কেন দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এই বীজ রাখা জরুরি?
১) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জিঙ্ক যা অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবি
২) উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই খাবার হজমেও উন্নতি করতে পারে।
৩) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
৪) টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।
৩) কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে এবং একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও এটি দারুণ উপকারী।
৪) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জিংক, ভিটামিন এ, বি আর কে যা চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তুলতে সাহায্য করে। এতে আছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল বাড়তে সাহায্য করে।
৫) কুমড়োর বীজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
৬) কুমড়োর বীজে রয়েছে সেরোটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।
৭) এই বীজ ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
কী ভাবে খাবেন?
এই বীজ বেটে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। স্যালাড কিংবা স্যুপেও এটি ব্যবহার করা যায়। এটি অল্প সেঁকে স্ন্যাকস হিসেবে খেলে সবচেয়ে বেশি সুফল পেতে পারেন।