দোলের পার্টিতে হাসিমুখে সকলের সঙ্গে ছবি তোলেন তোলেন সতীশ কৌশিক। ছবি: টুইটার
৬৬ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বলিউডের পরিচালক ও অভিনেতা সতীশ কৌশিক। ৭ মার্চ গীতিকার জাভেদ আখতার ও অভিনেত্রী শাবানা আজ়মির বাড়িতে হোলি উদ্যাপন করেন কৌতুকশিল্পী সতীশ। সেই হোলি পার্টিতে ছিলেন অভনেত্রী রিচা চড্ডা, অভিনেতা আলি ফজ়ল ও অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীর মতো বলিপাড়ার অনেক তারকাই। হাসিমুখে তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন সতীশ। ৭ তারিখ রাত ১১টার সময় সেই সব ছবি টুইটারে পোস্ট করে অনুরাগীদের হোলির শুভেচ্ছাও জানান অভিনেতা। সব তো ঠিকই ছিল, তা হলে হঠাৎ কী হল অভিনেতার? হোলি পার্টিতে ভীষণ জোর গান চলছিল। জোর আওয়াজ কি কোনও ভাবে অভিনেতার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে?
সম্প্রতি সংবাদের শিরোনামে একটি খবর উঠে আসে, যেখানে ২২ বছর বয়সি সুরেন্দ্র কুমার বিয়ের মণ্ডপে মালাদলের সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। পরিবারের তরফে জানানো হয়, বিয়েতে তারস্বরে গানবাজনা চলছিল। উচ্চ ডেসিবলে গানবাজনাই সহ্য করতে পারেনি সুরেন্দ্র, আর সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালে ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শব্দদূষণ কী ভাবে হার্টের ক্ষতি করতে পারে, সেই গবেষণা করতে গিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, শব্দের কম্পাঙ্কের মাত্রা সাধারণের থেকে ৫ ডেসিবেল বাড়লে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য গুরুতর হার্টের রোগের ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়। উচ্চ কম্পাঙ্কের গান বা যে কোনও শব্দ হৃদ্স্পন্দন অনেকটা বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদ্রোগের মতো সমস্যা ডেকে আনে। ৬০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ মানুষের কান ও শরীরের পক্ষে সহনীয়। ১০০ ডেসিবেল শব্দে ১৫ মিনিটে বেশি থাকলে শ্রবণশক্তি ও হৃদ্যন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।