বিজ্ঞানীদের দাবি, এক হাজার ১৪৮ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে অ্যাপটি। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকেরা প্রথাগত ভাবে যে স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করেন, তার আবিষ্কার প্রায় ২০০ বছর আগের। বহুলব্যবহৃত এই যন্ত্রের সাহায্যে হৃদ্যন্ত্রের শব্দ শোনেন চিকিৎসকরা। হৃদ্যন্ত্রের বিভিন্ন কপাটিকা বন্ধের শব্দের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালননের শব্দও শোনা যায় এতে। সেই ‘লাব-ডাব’ শুনেই বোঝা যায় হৃদ্যন্ত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। এ বার প্রযুক্তির কল্যাণে সেই কাজই করে দিতে পারে মোবাইলের অ্যাপ। এমনই দাবি করলেন ব্রিটেনের প্রযুক্তিবিদেরা।
মূলত লন্ডনের কিংস কলেজের কয়েক জন বিজ্ঞানী অ্যাপটি তৈরি করেছেন। তবে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মাসট্রিক্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও সেলিউল ডিজাইন স্টুডিয়োর জনা কয়েক বিজ্ঞানীও। চলতি সপ্তাহে লন্ডনের একটি বিজ্ঞান সম্মেলনে অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হতে চলেছে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন ও এলভিনা চিলড্রেন হার্ট অর্গানাইজেশনের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত ছিলেন গবেষণার সঙ্গে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এক হাজার ১৪৮ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে অ্যাপটি। দেখা গিয়েছে, লিঙ্গ ও ওজন নির্বিশেষে মানুষের হৃদ্স্পন্দন ধরতে পেরেছে অ্যাপটি।
কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে অ্যাপটি? বুকের নির্দিষ্ট চারটি জায়গায় ধরে রাখতে হবে ফোন। তার পর পর্দায় কেবল রেকর্ড করার বিকল্পটি বেছে নিয়ে করে সেভ করলেই হল। মোবাইলে জমা হয়ে যাবে হৃদ্স্পন্দনের আওয়াজ। প্রযুক্তিবিদদের আশা, চিকিৎসাক্ষেত্রে বড় বদল আনতে পারে অ্যাপটি। তবে চিকিৎসাক্ষেত্রের বাইরেও একটি বিশেষ ব্যবহার রয়েছে অ্যাপটির। যাঁরা অ্যাপটি দেখেছেন, তাঁদের অনেকেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মৃত্যুপথযাত্রী প্রিয়জনের হৃদ্স্পন্দন রেকর্ড করে রাখতে চাইছেন। তাই প্রিয়জনের স্মৃতিরক্ষাতেও কাজে আসতে পারে অ্যাপটি।