ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ন্ত বয়সে শিশুকে কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি যাতে ঠিক করে হয় তার জন্য কলা খাওয়ানো অবশ্যই জরুরি। তবে বিষয় যদি হয় ওজন কমানোর, তা হলে কলা খাওয়া আদৌ ঠিক না কি না, তা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। তবে সব ফল খেলেও, ডায়েটে কলা খান না সিংহভাগ। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়েই এমন সিদ্ধান্ত। ভয় অমূলক নয় একেবারেই। দেদার কলা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। তবে কলা না খেলেও ডায়েটে স্মুদি খান অনেকেই। ওট্স, মুসলির স্মুদিতে মধু আর দই ছাড়াও থাকে কলা। স্মুদিতে দিয়ে খেলে কলা ততটাও ক্ষতি করবে না, এমনটাই ধারণা বহু জনের। সত্যিই কি তাই? পুষ্টিবিদ সুচরিতা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এমন ভাবনার কোনও ভিত্তি নেই। তবে কলা খাওয়া মানেই মোটা হয়ে যাওয়া, বিষয়টি তেমনও নয়। ‘প্রি-ওয়ার্ক আউট স্ন্যাকস’ হিসাবে আমরা কলা রাখতেই পারি ডায়েটে। স্মুদিতেও খেতে পারি। তবে কলা থেকে যে ক্যালোরি গেল শরীরে, সেটাও ঝরিয়ে ফেলতে হবে। জিমে যাওয়ার আগে কিংবা শরীরচর্চার শুরুতে যদি কলা দিয়ে তৈরি স্মুদি খেয়ে নেওয়া যায়, তা হলে সমস্যা হবে না।’’
স্মুদি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর পানীয়। পেট ভর্তি রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এ ছাড়াও আরও অনেক উপকার করে। স্মুদি তৈরিও হয় স্বাস্থ্যকর উপকরণ দিয়ে। তা সত্ত্বেও একটি কলা কী ভাবে স্মুদির স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট করে দিতে পারে?
১) কলায় ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। কলা খাওয়া মানেই ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করা। রোজ যদি একটি কলাও খান, তা হলে ঠিক কতটা পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে যাচ্ছে, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
২) হজমের গোলমাল থাকলে কলা খাওয়া ঠিক হবে না। কলা বদহজমের কারণ হয়ে উঠতে পারেন। পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও বাড়িয়ে দেয় কলা। তার চেয়ে কলার বদলে পেঁপে, তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।
৩) কলায় শুধু ক্যালোরি নয়, চিনি এবং কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে। একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ১৪ গ্রাম মতো চিনি থাকে। আর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় ২৭ গ্রাম। শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, ডায়াবিটিস থাকলেও কলা খাওয়া উচিত নয়।