শরীরচর্চার আগে কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর ভাল রাখতে, মেদ কমাতে-- ঘাম ঝরাতে হবে। কিন্তু শরীরচর্চা করেই যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তা হলে কি ভাল হবে? ভরপেটে শারীরিক কসরত করা অনুচিত। কিন্তু খালিপেটেও কি জিমে গিয়ে দীর্ঘ শরীরচর্চা করা উচিত? জিমে গিয়ে ওজন ঝরানোর জন্যেও কিন্তু পুষ্টি জরুরি। পুষ্টিবিদরা বলছেন, একেবারে খালিপেটে ওজন তোলা বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের শরীরচর্চা করা উচিত নয়। এ জন্য শক্তির প্রয়োজন। পেট খালি রেখে শরীরচর্চা করতে গেলে ক্লান্তি ঘিরে ধরতে পারে। তবে, ভরা পেটেও ব্যায়াম করা ঠিক নয়। তা হলে কী খাবেন, কতক্ষণ আগে খাবেন? সাধারণত ভারী খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পরে শরীরচর্চা করা উচিত। পেট ভরা থাকলে ব্যায়াম করতেই অসুবিধা হয়। পাশাপাশি শরীরচর্চার আগে তেল মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়। বদলে দ্রুত শরীরকে শক্তি জোগাতে কী খেতে পারেন জেনে নিন।
প্রোটিন বার
পেশি গঠনের জন্যে প্রোটিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে শক্তি জোগাতেও প্রোটিন উপযুক্ত। তাই জিমে যাওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে একটা প্রোটিন বার খেয়ে নিতে পারেন। বাড়িতেও রকমারি বাদাম, পুষ্টিকর বীজ, খেজুর, ওট্স মিশিয়ে প্রোটিন বার বানিয়ে নিতে পারেন। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে একটি পাত্রে সমান করে বিছিয়ে দিয়ে ফ্রিজে ভরে রাখলেই জিনিসটি জমাট বেঁধে যাবে। সেখান থেকে টুকরো করে কেটে নিলেই হবে।
মিষ্টি আলু, ব্রাউন রাইস
শরীরচর্চার ফল সঠিক ভাবে পেতে হলে খাওয়া-দাওয়ায় প্রোটিন, শর্করা ও ফ্যাটের ভারসাম্য জরুরি। জিমে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টা তিনেক আগে যদি খান, তাহলে পাতে রাখতে পারেন ব্রাউন রাইস, মিষ্টি আলু। এতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট হজমে সময় লাগে, ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত হয় । যার ফলে শরীরচর্চার সময়ে শক্তির জোগানে ঘাটতি হয় না। এর সঙ্গে খাদ্য তালিকায় মাছ, মুরগির মাংস বা ডিম যে কোনও একটা রাখতে পারেন।
অমলেট
ডিমেও প্রচুর প্রোটিন থাকে। সঙ্গে থাকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আরও অনেক উপাদান। পেশি গঠনের জন্য অ্যামাইনো অ্যাসিড খুব জরুরি। ডিমে এর সব কিছুই থাকে। পুরো ডিম দিয়েও যেমন অমলেট বানাতে পারেন, কেবল সাদা অংশ দিয়েও অমলেট ভাজা যায়। জিমে যাওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে অমলেট খেতে পারেন। এতে পেট বেশি ভরে যায় না অথচ শরীরের জন্য দরকারি শক্তি মেলে।