তারণ্য ধরে রাখার তিন মন্ত্র শেখালেন প্রীতি। ফাইল চিত্র।
বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। চেহারায় বিন্দুমাত্র মেদ নেই। বলি অভিনেত্রী প্রীতি জ়িন্টাকে সাধারণত খুব বেশি মেকআপে দেখা যায় না। তাঁর চেহারার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্যই হয়ে ওঠে সাজের অঙ্গ। ত্বকে এখনও বলিরেখা পড়েনি। বয়স যেন থমকে গিয়েছে জাদুবলে। ৪৯ বছরেও কী ভাবে এমন চেহারা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী? এখনও কী করে এত কমবয়সি দেখায় প্রীতিকে? সেই রহস্য ফাঁস করলেন নিজেই।
প্রীতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে জানিয়েছেন, কোনও রকম অ্যান্টি-এজিং থেরাপি করেননি তিনি। পঞ্চাশেও তারুণ্য ধরে রেখেছেন কেবল নিয়ম মেনে পরিমিত খাওয়া এবং ঘড়ি ধরে শরীরচর্চার কারণেই। তাঁর পছন্দের ব্যায়াম হল পিলাটেজ়। প্রশিক্ষকের পরামর্শে এই ব্যায়াম করেই এমন ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছেন তিনি।
বয়স ধরে রাখার তিন মন্ত্র
ব্যায়াম
যন্ত্রের সাহায্যে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন না অনেকেই। প্রীতিও সেই দলেই। জানিয়েছেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণের সময়ে নানা রকম জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই পথ ছিল খুবই যন্ত্রণার। এর পরেই প্রশিক্ষকের সাহায্যে পিলাটেজ় শুরু করেন তিনি। এটি হল দেহের পেশি এবং অস্থিসন্ধিগুলিকে সচল রাখার ব্যয়াম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ে শরীরে অস্থিসন্ধিগুলি। পেশিরও ক্ষয় হতে শুরু করে। অনেক সময়ে যোগাসন ঠিক মতো করা যায় না। সেই সময়ে যে ব্যায়ামগুলি সাবলীল ভাবে করা যায়, সেগুলির মধ্যে অন্যতম পিলাটেজ়। কেবল শরীর সচল রাখা বা পেশির শক্তি বাড়ানোই নয়, নানা ধরনের অসুখ, যেমন স্লিপ ডিস্ক, ফ্রোজ়েন শোল্ডার, স্পন্ডিলোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই ব্যায়াম।
ঘুম
শরীরচর্চার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। প্রীতি জানিয়েছেন, যতই ব্যস্ততা থাক, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম শরীর থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করে। ত্বকও ভাল রাখে, মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
ডায়েট
পরিমিত খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন প্রীতি। তাঁর কথায়, পছন্দের সবই খান, কিন্তু কম পরিমাণে। সময় ধরে খাওয়াও জরুরি। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর কম করে খেতে হবে। খিদে পাওয়া মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। বরং সংযম নিয়ে খান, এমনটাই মত প্রীতির। বলছেন, খাওয়ার সময়ে ধীরস্থির হয়ে বসে খাওয়া ভাল। এতে ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খেতে পারবেন। তাতে বেশি খাওয়া হবে না এবং যেটুকু খাবেন, তা সহজেই হজম হবে। সপ্তাহে এক দিন নিজের মনের মতো খাবার খান, তা হলে রোজ রোজ ভালমন্দ খাওয়ার ইচ্ছা হবে না।