চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? ‘পিসিওএস’ নয়তো! ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তা-ও কমছে না? তা হলে খেয়াল করুন তো, আপনার ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় কি না! বেশি প্ররিশ্রম ছাড়াই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কি!
অনিয়মিত ঋতুস্রাব, আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি কিন্তু হতে পারে ‘পিসিওএস’-এর লক্ষণ। ‘পিসিওএস’-এর প্রবণতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম’। কী এই অসুখ? এতে ডিম্বাশয় থেকে অতিরিক্ত ‘এন্ড্রোজেন’ ক্ষরণ হয়। এই হরমোন ডিম্বাশয়ের গায়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি করে। সিস্টের কারণে ডিম্বাশয় ভারী হয়ে যায়। প্রজননেও সমস্যা হতে পারে।
‘পিসিওস’ হওয়া মানেই কিন্তু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। তার জেরেই শরীরে নানা বদল দেখা যায়।
কোন উপসর্গে বুঝবেন ‘পিসিওস’ হতে পারে?
১. তলপেটে মেদ বৃদ্ধি পাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বড় কারণ হতে পারে। পিসিওএস হলে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রার স্বাভাবিক তারতম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফলে তলেপেটে মেদ বৃদ্ধি পায়।
২. পরিশ্রম সে ভাবে না হলেও যদি ক্লান্তি চেপে বসে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। থাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাশাপাশি, কাজ করার ক্ষমতার জন্য এই হরমোনের প্রয়োজন। কর্টিসল ও থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। পিসিওএস থাকলে যে হেতু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তাই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
৩. পিসিওএস হলে চুল পড়ার সমস্যাতেও ভুগতে পারেন মহিলারা। এতে ডিএইচটি নামে হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা তৈরি হয়।
৪. অনিয়মিত ঋতুস্রাব পিসিওএস-এর খুব সাধারণ একটি লক্ষণ। আচমকা টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঋতুস্রাব অনিয়িমত হয়ে পড়ে।
৫. অবাঞ্ছিত রোম গজিয়ে উঠতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়। পিসিওস-এর ক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে ‘মেল হরমোন’-এর আধিক্য দেখা যায়। যার ফলে শরীরে অবাঞ্ছিত রোম বেড়ে যায়।
সমাধান:
পিসিওএস-র নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন জীবনচর্চায় বদল প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া প্রয়োজন। বাদ দিতে হবে ‘জাঙ্ক ফুড’। পাশাপাশি, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।