— প্রতীকী চিত্র।
হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি-র ভূমিকা রয়েছে। এই ভিটামিনের প্রাকৃতিক উৎস হল সূর্যের আলো। দুধ, ডিম, পনিরের মতো সাধারণ কিছু খাবারেও এই ভিটামিন থাকে। তা সত্ত্বেও যদি শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। তবে রক্তে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বেড়ে গেলে কিন্তু ঘোর বিপদ! এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় সেই আশঙ্কা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৮৯ বছরের ওই বৃদ্ধ ইংল্যান্ডের সারে শহরের বাসিন্দা। মৃত্যুর আগে টানা ন’মাস ধরে ভিটামিন ডি-র সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁর রক্তে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, হাইপারক্যালশেমিয়া। সেখান থেকেই বিষক্রিয়া এবং শেষে মৃত্যু। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাইপারক্যালশেমিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ডি-র প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। তাই এই ভিটামিন যেমন ভাল, তেমন মাত্রাছাড়া হলে আবার বিপদেরও।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মত অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন। তবে ব্যক্তিভেদে এই চাহিদা কমবেশি হতে পারে, পুরোটাই নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের উপর।
দুধ, পনির, মাশরুম, মাখন, তৈলাক্ত মাছ, চিজ়, ডিমে ভাল মাত্রায় ভিটামিন ডি থাকে। তা ছাড়া বাজারে কিছু ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্টও পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে সেগুলি নৈব নৈব চ। মূলত খুব ঠান্ডার জায়গায় যাঁরা থাকেন, যাঁরা নিরামিষাশী কিংবা যাঁরা বয়স্ক, মূলত তাঁদেরই চিকিৎসকেরা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেন। এ ছাড়া শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলেও চিকিৎসকেরা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন। এই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই, দিনের যে কোনও সময় এই ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।